পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS রবীন্দ্র-রচনাবলী রঙ্গ “এ তো বড়ো রঙ্গ’ ছড়াটির অনুকরণে লিখিত এ তো বড়ো রঙ্গ, জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গচার মিঠে দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ । বরফি মিঠে, জিলাবি মিঠে, মিঠে শোন-পাপডি— তাহার অধিক মিঠে, কন্যা, কোমল হাতের চাপড়ি। এ তো বড়ো রঙ্গ, জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ চার সাদা দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ । ক্ষীর সাদা, নবনী সাদা, সাদা মালাই রাবডিতাহার অধিক সাদা তোমার পষ্ট ভাষার দাবড়ি । এ তো বড়ো রঙ্গ, জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ চার তিতো দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ । উচ্ছে তিতো, পলতা তিতো, তিতো নিমের সুক্ততাহার অধিক তিতে যাহা বিনি ভাষায় উক্ত । এ তো বড়ো রঙ্গ, জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ চার কঠিন দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ। লোহা কঠিন, বাজ কঠিন, নাগরা জুতোর তলা— তাহার অধিক কঠিন তোমার বাপের বাড়ি চলা । এ তো বড়ো রঙ্গ, জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ চার মিথ্যে দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ । মিথ্যে ভেলকি, ভূতের হচি, মিথ্যে র্কাচের পান্না— তাহার অধিক মিথ্যে তোমার নাকি সুরের কান্না। পরিণয়মঙ্গল অক্ষয় হয়ে থাক সিঁদুরের কৌটা। সাত চড়ে তবু যেন কথা মুখে না ফোটে, नानिकाड़ा उठ१ों Cछ05 Cचाभbों९3 ना ९3ठ : শাশুড়ি না বলে যেন “কী বেহায়া বেঁটা’ । “পাক প্ৰণালীর মতে কোরো তুমি রন্ধন, জেনো ইহা প্ৰণয়ের সাব-সেরা বন্ধন। চামড়ার মতো যেন না দেখায় লুচিটা, স্বরচিত বলে দাবি নাহি করে মুচিটা, পাতে বসে পতি যেন নাহি করে ক্ৰন্দন।