পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RGło রবীন্দ্র-রচনাবলী হরতনী । কেউ না । ঐ দেখো-না, এবার হঠাৎ শুকনো ঝরনায় নামল বর্ষা । জলের ধারায় ধারায় শুরু হল বেণীবন্ধন । এ বিদ্যা কে শেখাল তাকে । চলো আমার সঙ্গে, ছক্কা-পঞ্জার গান শুনিয়ে দিই তোমাকে । [ প্ৰস্থান বিবিদের প্রবেশ বিবিরা । कib 43 5ोंन् অজানা সুর কে দিয়ে যায় কানে কানে, DBBD DB D LD D K DBDO S বিস্মৃত জন্মের ছায়ালোকে হারিয়ে-যাওয়া বীণার শোকে কেঁদে ফিরে পথহারা রাগিণী । LLBD LBL LD D KD D SS [ প্ৰস্থান রুইতন-হরতনীর পুনঃপ্রবেশ রুইতন । দোষ দেব কাকে । আমারই গাইতে ইচ্ছা করছে । হরতনী । দেখো, সম্পাদক যেন শুনতে না পায়, স্তম্ভে চড়াবে । সে দেখলুম ঘুরে বেড়াচ্ছে এই বনের খবর নিতে । রুইতন । দেখো, হরতনী, ভয় কিন্তু আমার গেছে ঘুচে, কেন কী জানি । একটা কিছু হুকুম করো, তোমার জন্যে দুঃসাধ্য কিছু একটা করতে চাই । হরতনী । আর যাই কর গান গেয়ে না, বনে জবা ফুটেছে, তুলে এনে দাও । ফুলের রস দিয়ে রাঙাব পায়ের তলা । রুইতন । দেখো, সুন্দরী, আজ সকালে উঠেই বুঝেছি, আমাদের এই তাসজন্মটা স্বপ্ন । সেটা হঠাৎ ভাঙল । আমাদের আর-এক জন্ম বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। তারই বাণী আসছে মুখে, তারই গান শুনছি। কানে । ঐ শোনো, ঐ শোনো, আমার সেই যুগের রচিত গান আকাশ থেকে ঐ কে বয়ে আনছে । 5R তোমার পায়ের তলায় যেন গো রঙ লাগে, আমার মনের বনের ফুলের রাঙা রাগে । যেন আমার গানের তানে তোমায় ভূষণ পরাই কানে, যেন রক্তমণির হার গেঁথে দিই প্ৰাণের অনুরাগে। হরতনী । এ গান কোনোদিন তুমিই বেঁধেছিলে, আর আমারই জন্যে ? কেমন ক’রে বাধলে । রুইতন । যেমন করে তুমি বাধলে বেণী । হরতনী । আচ্ছা, মনে কি আসছে, তোমার গানে আমি নেচেছিলুম কোনো একটা যুগে । রুইতন । মনে আসছে, আসছে। এতদিন ভুলে ছিলুম কী করে তাই ভাবি । গান উতল হাওয়া লাগল আমার গানের তরণীতে । দোলা লাগে, দোলা লাগে তোমার চঞ্চল ওই নাচের লহরীতে