পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७द्ध ge 8 GY যদি কাটে রসি, যদি হাল পড়ে খসি, যদি ঢেউ উঠে উচ্ছসি, সম্মুখেতে মরণ যদি জাগে, করি। নে ভয়, নেবই তারে নেব্বই তারে জিতে । রুইতন । দেখো হরতনী, মন ছটুফটিয়ে উঠেছে। যমরাজের সঙ্গে পাল্লা দিতে। আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। ছবি, তুমি পরিয়ে দিলে আমার কপালে জয়তিলক, আমি বেরলুম বন্দিনীকে উদ্ধার করতে, বন্ধ দুর্গের দ্বারে বাজালুম আমার ভেরী । কানে আসছে বিদায়কালে যে গান তুমি গেয়েছিলে । 分问 বিজয়মালা এনে আমার লাগি । দীর্ঘ রাত্রি রইব আমি জাগি । চরণ যখন পড়বে তোমার মরণকুলে বুকের মধ্যে উঠবে আমার পরান দুলে, সব যদি যায় হব তোমার সর্বনাশের ভাগী । হরতনী । চলো চলো, বীর, মরণ পণ করে বেরিয়ে পড়ি দুজনে মিলে । দেখতে পাচ্ছি যে, সামনে কী যেন কালো পাথরের ভুকুটি, ভেঙে চুরমার বা মতে হবে । ভেঙে মাথায় যদি পড়ে পড়ক । পথ কাটতে হবে পাহাড়ের বুক ফাটিয়ে দিয়ে। কী করতে এসেছি। এখানে । ছিছি, কেন আছি। এখানে । একি অর্থহীন দিন, কী প্রাণহীন রাত্রি । কী ব্যর্থতার আবর্তন মুহুর্তে মুহুর্তে । রুইতন । সাহস আছে তোমার, সুন্দরী ? হরতনী ৷ আছে, আছে । রুইতন । অজানাকে ভয় করবে না ? হরতনী । না, করব না । রুইতন। পা যাবে ক্ষতবিক্ষত হয়ে, পথ ফুরোতে চাইবে না । 臀 হরতনী । কোন যুগে আমরা চলেছিলুম। সেই দুৰ্গমে । রাত্রে ধরেছি মশাল তোমার সামনে, দিনে বয়েছি জয়ধ্বজা তোমার আগে আগে । আজ আর-একবার উঠে দাড়াও, ভাঙতে হবে এখানে এই অলসের বেড়া, এই নিজীবের গণ্ডি, ঠেলে ফেলতে হবে এই সব নিরর্থকের আবর্জন । রুইতন । ছিড়ে ফেলো আবরণ, টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলো । মুক্ত হও, শুদ্ধ হও, পূর্ণ হও । [ প্ৰস্থান ছক্কা-পাঞ্জার প্রবেশ ছক্কা । ওহে পঞ্জা, কী হল বলে দেখি । পঞ্জা । ভারি লজ্জা হচ্ছে নিজের দিকে তাকিয়ে । মূঢ়, মূঢ় ! কী করছিলি এতদিন । ছক্কা । এতদিন পরে কেন মনে প্রশ্ন জাগছে, এ-সমস্তর অর্থ কী । পঞ্জা । ঐ-যে দহলা পণ্ডিত আসছেন, ওঁকে জিজ্ঞাসা করি । দহলার প্রবেশ ছক্কা । এতকাল যে-সব ওঠাপড়া-শোওয়াবসার কোটুকেনা নিয়ে দিন কাটাচ্ছিলুম তার অর্থ কী । দহলা । চুপা । ছক্কা-পাঞ্জা । (উভয়ে) করব না চুপ । দহলা। ভয় নেই ? ছক-পঞ্জা । (উভয়ে) নেই ভয়, বলতে হবে অর্থ কী । Տ Հ | | Տ Գ