পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰহাসিনী তাহার পরে ছেলে তো আছে বাপেরই পথে ঢুকে অম্লশূলসাধনকৌতুকে। বঁকাচা আমের আচার যত রহিবে হয়ে বংশগত, ধরাবে জ্বালা পারিবারিক বুকে। খাওয়া বাচায়ে বাঙালিদের বাচিতে হলে বেঁয়াক এ দেশে তবে ধরিত না তো লোক। অপরিপাকে মরণভয় গৌড়জনে করেছে জয়, তাদের লাগি কোরো না কেহ শোক । লঙ্কা আনো, সর্ষে আনো, সস্তা আনো ঘূত, গন্ধে তার হোয়ো না শঙ্কিত। আঁচলে ঘোরি কোমর বাধো, ঘণ্ট আর ছেচকি রাধো, বৈদ্য ডাকে- তাহার পরে মৃত । অপাক-বিপাক চলতি ভাষায় যাৱে ব’লে থাকে আমাশা যত দূর জানা আছে, সেটা নয়। তামাশা। অধ্যাপকের পেটে এল সেই রোগটা তো, তাহার কারণ ছিল গুরু জলযোগটা তো। কী কাণ্ড ঘটেছিল শুনে বুক ফুলে ওঠে। টেবিল জুড়িয়া ছিল চৰ্য্য ও কত পেয়; ডেকে ডেকে বলেছেন, “যত পার তত খেয়ো ।” হয়, এত উদারতা সইল না। উদরেরজঠরে কী কঠোরতা বিজ্ঞানভূধরের; রাসনায় ভুরি ভুরি পেল এত মিষ্টতা, অন্তরে নিয়ে তারে করিল না শিষ্টতা। এই যদি আচরণ হেন খ্যাতনামাদের, তোমাদেরি লজা সে, ক্ষতি নেই। আমাদের। হেথাকার আয়োজনে নাই কাপিণ্য যে, প্ৰবল প্ৰমাণে তারি পরিবার ধনা যে। বিশ্বে ছডাল খ্যাতি; বিশ্ববিদ্যাগৃহে করে সবে কানাকানি, “বলো দেখি, হল কী হে। এত বডো রটনার কারণ ঘটান যিনি তার কাছে কবি রবি চিরদিন রবে ঋণী।