পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰহাসিনী দৈবে যদি কবি হতেন। তিনি, বিরহ তার পদ্যে বানিয়ে নীচের লেখার ছাদে আমায় দিতেন জানিয়ে বিনয়সহ এই নিবেদন অঙ্গুলিচ পাসু, নালিশ জানাই কবির কাছে, জবাবটা চাই আশু । যে লেখনী তোমার হাতের সম্পর্শে জীবন লাভে আচলকূটের নির্বাসন সে কেমন ক’রে সবে। বক্ষ আমার শুকিয়ে এল, বন্ধ মসী-পান, কেন আমায় ব্যর্থতার এই কঠিন শাস্তি দান। স্বাধিকারো প্ৰমত্তা কি ছিলাম কোনোদিন। করেছি কি চঞ্চু আমার ভোতা কিংবা ক্ষীণ। কোনোদিন কি অপঘাতে তাপে কিংবা চাপে অপরাধী হয়েছিলাম মসীপাতন-পাপে। পত্রপটে অক্ষর-রাপ নেবে তোমার ভাষা, দিনে-রাতে এই ছাড়া মোর আর কিছু নেই। আশা। নীলকণ্ঠ হয়েছি যে তোমার সেবার তরে, নীল কালিমার তীব্ররসে কণ্ঠ আমার ভরে। চালাই তোমার কীর্তিপথে রেখার পরে রেখা, আমার নামটা কোনো খাতায় কোথাও রায় না লেখা। গোমুখী সে রইল নীরব খ্যাতিভাগের দিনে। কাগজ সেও তোমার হাতের স্বাক্ষরে হয় দামি, আমার কাজের পুরস্কারে কিছুই পাই নে আমি। কাগজ নিত্য শুয়ে কাটায় টেবিল-'পরে লুটি, বা দিক থেকে ডান দিকেতে আমার ছুটােছুটি। কাগজ তোমার লেখা জমায়, বহে তোমার নামআমার চলায় তোমার গতি এইটুকু মোর দাম। অকীর্তিত সেবার কাজে অঙ্গ হবে ক্ষীণ, আসবে তখন আবর্জনায় বিসর্জনের দিন। বাচালতায় তিন ভুবনে তুমিই নিরুপম, এ পত্র তার অনুকরণ; আমায় তুমি ক্ষমে।। নালিশ আমার শেষ করেছি, এখন তবে আসি। --তোমার কালিদাসী। R 90