পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S SR || 8 ৭ মার্চ ১৯৩৯ দিয়ে জুই বেল জবা সাজানো সুহৃদসভা, আলাপ—প্ৰলাপ চলে দেদারই ঠিক সুরে তার বাধা, মূলতানে তান সাধা, নাম দিতে পারি। তবে কেদারি । ধ্যানভঙ্গ ‘পদ্মাসনার সাধনাতে দুয়ার থাকে বন্ধ, ধাক্কা লাগায় সুধাকান্ত, লাগায় অনিল চন্দ । ভিজিটরকে এগিয়ে আনে ; অটােগ্রাফের বহি দশ-বিশটা জমা করে, লাগাতে হয় সহি । বাজে কথা, কাজের তর্ক, নানান খিটিমিটি । পদ্মাসনের পদ্মে দেবী লাগান মোটরচাকা, এমন দৌড় মারেন তখন মিথ্যে র্তারে ডাকা । ভাঙা ধ্যানের টুকরো যত খাতায় থাকে পড়ি ; অসমাপ্ত চিন্তাগুলোর শূন্যে ছড়াছড়ি । সত্যযুগে ইন্দ্ৰদেবের ছিল রসজ্ঞান, মস্ত মস্ত ঋষিমুনির ভেঙে দিতেন ধ্যানভাঙন কিন্তু আটিসটিক ; কবিজনের চক্ষে লগত ভালো, শোভন হত দেবতাদিগের পক্ষে । তপস্যাটার ফলের চেয়ে অধিক হত মিঠা নিৰ্ম্মফলতার রসমগ্ন অমোঘ পদ্ধতিটা । ইন্দ্ৰদেবের অধুনাতন মেজাজ কেন কড়াতখন ছিল ফুলের বাধন, এখন দড়িদড়া । ধাক্কা মারেন। সেক্রেটরি, নয় মেনকা-রস্তারিয়ালিসটিক আধুনিকের এইমতেই ধরম বা । ধ্যান খোয়াতে রাজি আছি দেবতা যদি চান তাসুধাকান্ত না পাঠিয়ে পাঠান সুধাকান্ত । BDDS DDS DB DD LLDS DBB BBD BYS ইন্দ্ৰদেবের বঁাকা মেজাজ, আমার ভাগ্য মন্দ । সইতে হবে স্কুলহস্ত-অবলেপের দুঃখ, কলিযুগের চালচলনটা একটুও নয় সূক্ষ্ম ।