পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8br ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ «thნ ა პა ჯი রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ܔ চারি দিকে লক্ষণ মধু- is মৌমাছি বলবান পাহাড়ের ঠাণ্ডার, সেখানেও সম্প্রতি ক্ষীণ মধুভাণ্ডারহেন দুঃসংবাদ পাওয়া গেছে চিঠিতে । এ বছর বৃথা যাবে মধুলোভ মিটিতে । তবু কাল মধু-লাগি করেছিনু দরবার, আজি ভাবি অর্থ কি আছে দাবি করবার । মৌচাক-রচনায় সুনিপুণ যাহারা তুমি শুধু ভেদ কর তাহাদের পাহারা । মৌমাছি কৃপণতা করে যদি গোড়াতেই, জাস্তি না মেলে তাঁবু খুশি রব থোড়াতেই । তাও কীভূ সম্ভব না হয় যদি স্যাৎ তা হলে তো অবশেষে শুধু গুড় দদ্যাৎ । অনুরোধ না মিটুক মনে নাহি ক্ষোভ নিয়ো, দুর্লভ হলে মধু গুড় হয় লোভনীয় । মধুতে যা ভিটামিন কম বটে গুড়ে তা, পুরণ করিয়া লব টমেটোয় জুড়ে তা । এইভাবে করা ভালো সন্তোষ-আশ্রয়কোনো অভাবেই কাভু তার নাহি নাশ রায় । মধুমৎ পার্থিবং রজঃ শ্যামল আরণ্য মধু বহি এল ডাক-হরকরাআজি হতে তিরোহিতা পাণ্ডুবণী বৈলাতী শর্করা পূর্বাহুে পরাহে মোর ভোজনের আয়োজন থেকে এ মধু করিব ভোগ রোটিকার স্তরে স্তরে মেখে । যে দাক্ষিণ্য-উৎস হতে উৎসারিত এই মধুরতা বসনার রসযোগে অস্তরে পশিবে তার কথা । ভেবেছিন্নু, অকৃতাৰ্থ হয় যদি তোমার প্রয়াস তখন তো জানি নাই, গিরীন্দ্রের বন্য মধুকরী তোমার সহায় হয়ে অৰ্ঘ্যপাত্র দিবে তব ভরি । দেখিানু, বেদের মন্ত্র সফল হয়েছে তব প্ৰাণে ; তোমারে বরিল ধরা মধুময় আশীর্বাদ-দানে ।