পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালান্তর VAW) R হিজলি করার যে রক্ষীরা সেখানকার দুজন রাজবন্দীকে খুন করেছে তাদের প্রতি কোনো একটি অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সংবাদপত্র* খুস্টোপদিষ্ট মানবপ্রেমের পুনঃপুনঃ ঘোষণা করেছেন । অপরাধকারীদের প্রতি দরদের কারণ এই যে, লেখকের মতে, নানা উৎপাতে তাদের স্নায়ুতন্ত্রের পরে এত বেশি অসহ্য চাড় লাগে যে, বিচারবুদ্ধিসংগত স্থৈর্য তাদের কাছে প্ৰত্যাশাই করা যায় না । এই-সব অতান্ত-চড়া-নাউী-ওয়ালা ব্যক্তিরা স্বাধীনতা ও অক্ষুন্ন আত্মসম্মান ভোগ করে থাকে ; এদের বাসা আবামের, আহারবিহার স্বাস্থ্যকর ; এরাই একদা রাত্রির অন্ধকারে নরঘাতক অভিযানে সকলে মিলে চড়াও হয়ে আক্রমণ করলে সেই-সব হতভাগ্যদেরকে যারা বর্বরতম প্ৰণালীর বন্ধনদশায় অনির্দিষ্টকালব্যাপী অনিশ্চিত ভাগ্যের প্রতীক্ষায় নিজেদের স্নায়ুকে প্রতিনিয়ত পীড়িত করছে। সম্পাদক তার সকরুণ প্যারাগ্রাফের স্নিগ্ধ প্রলেপ প্রয়োগ করে, সেই হত্যাকারীদের পীড়িত চিত্তে সাস্তুনা সঞ্চার করেছেন । অধিকাংশ অপরাধেরই মূলে আছে স্নায়বিক অভিভূতি এবং লোভ ক্লেশ ক্রোধের এত দুৰ্দম উত্তেজনা যে তাতে সামাজিক দায়িত্ব ও কৃতকার্যের পরিণাম সম্পূৰ্ণ ভুলিয়ে দেয় । অথচ এরকম অপরাধ স্নায়ুপীড়া বা মানসিক বিকার থেকে উদভূত হলেও আইন তার সমর্থন করে না ; করে না। বলেই মানুষ আত্মসংযমের জোরে অপরাধের ঝোক সামলিয়ে নিতে পারে । কিন্তু, করুণার পীযুষকে যদি বিশেষ যত্নে কেবল সরকারি হত্যাকারীদের ভাগেই পৃথক করে জোগান দেওয়া হয় এবং যারা প্রথম হতেই অস্তরে নিঃশাস্তির আশা পোষণ করছে, যারা বিধিব্যবস্থার রক্ষকরূপে নিযুক্ত হয়েও তাদেরই জনো একটা স্বতন্ত্র আদর্শেব বিচারপদ্ধতি মঞ্জর হতে পারে, তবে সভ্যজগতের সর্বত্র ন্যায়বিচারের যে মূলতত্ত্ব স্বীকৃত হয়েছে তাকে অপমানিত করা হবে এবং সর্বসাধারণের মনে এর যে ফল ফলবে তা অজস্র রাজদ্ৰোহ-প্রচারের দ্বারাও সম্ভব হবে না । পক্ষান্তরে এ কথা মুহুর্তের জন্যেও আশা করি নে যে, আমাদের দেশে রাষ্ট্রনৈতিক যে-সব গোড়ার দল যথারীতি-প্রতিষ্ঠিত আদালতের বিচারে দোষী প্রমাণিত হবে তারা যেন ন্যায়দণ্ড থেকে নিস্কৃতি পায়--- এমন-কি, যদিও বা চোখেব সামনে রোমহর্ষক দৃশ্যে ও কাপুরুষ অত্যাচারীদের বিনা শাস্তিতে পবিত্ৰাণে তাদের স্নায়ুপীডাব চবমতা ঘটে থাকে । বিধর্ষিত আত্মীয়স্বজন ও নিজেদের লাঞ্ছিত মনুষ্যত্ব সম্বন্ধে যদি তাবা কোনো কঠোর দায়িত্ব কল্পনা করে নেয়, তবে সেইসঙ্গে এ কথাও যেন মনে স্থির রাখে। যে সেই দায়িত্বের প্রবো মূল্য তাদের দিতেই হবে । এ কথা সকলেরই জানা আছে যে, আমাদের দেশের ছাত্ৰেবা যুবোপীয় ইস্কুলমাস্টাবদেব যোগেই পাশ্চাত্য দেশে স্বাধীনতালাভের ইতিহাসটিকে বিধিমতে হািদয়ঙ্গম কবে নিয়েছে, এবং এও বলা বাহুল্য যে, সেই ইতিহাস রাজা প্ৰজা উভয়পক্ষের দ্বাবা প্রকাশে বা গোপনে অনুষ্ঠিত আইনবিগৰ্হিত বিভীষিকাৰ্য পবিকীর্ণ— অনতিকাল পূর্বে আযল্যান্ডে তব দৃষ্টান্ত উজজুল হযে, প্রকাশি৩ ৷৷ তথাপি বে-আইনি অপরাধকে অপবাধ বলেই মানতে হবে এবং তাব ন্যান্যসংগত পরিণাম যেন অনিবাৰ্য হয়। এইটেই বাঞ্ছনীয় ! অথচ এ কথা ও ইতিহাসবিখ্যাত যে, যাদের হাতে সৈন্যবল ও রাজপ্রতাপ অথবা যারা এই শক্তির প্রশ্রয়ে পালিত তাবা বিচার এডিযে এবং বলপূর্বক সাধারণের কণ্ঠ বোধ কবে ব্যাপকভাবে এবং গোপন প্ৰণালীতে দুৰ্বত্ততার চুডান্ত সীমায় যেতে কুষ্ঠিত হয় নি । কিন্তু মানুষেবা সৌভাগ্যক্রমে একাপ নীতি শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারে না । পরিশেষে আমি বিশেষ ভাবে গবর্মেন্টকে এবং সেইসঙ্গে আমার দেশবাসিগণকে অনুরোধ করি যে, অন্তহীন চক্রপথে হিংসা ও প্রতিহিংসার যুগল তাণ্ডবনৃত। এখনই শান্ত হোক । ক্রোধ ও বিরক্তি h’ Stev