পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wobr SR রবীন্দ্র-রচনাবলী জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ, জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ । চার ধলো দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ । বক ধলো, বস্ত্ৰ ধলো, ধলো বাজহংস } তাহার অধিক ধলো, কন্যে, তোমার হাতের শঙ্খ । জাদু, এ তো বডো বঙ্গ, জাদু, এ তো বডো। রঙ্গ } চার রাঙা দেখাতে পাব যাব তোমার সঙ্গ । জবা রাঙা, করবী রাঙা, বাঙা কুসুমফুল । তাহার অধিক বাঙা, কনো, তোমার মাথাব্য সিঁদুর । জাদু, এ তো বডো। রঙ্গ, জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ । চার তিতো দেখাতে পাের যাব তোমার সঙ্গ }} নিম তিতো, নিসুন্দে তিতো, তিতে মাকাল ফল । তাহার অধিক তিতো, কন্যে, বোন-সতিনের ঘর । জাদু, এ তো বডো। রঙ্গ, জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ ! চার হিম দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ । হিমা জল, হিম স্থল, হিমা শীতলপাটি । তাহার অধিক হিম, কন্যে, তোমার বুকের ছাতি । উদধূত ছডাটি সম্বন্ধে কৌতুকজনক বিস্তুত আলোচনাও উক্ত প্ৰবন্ধে রবীন্দ্রনাথ করিয়াছেন । রবীন্দ্র-রচনাবলীর ষষ্ঠ খণ্ডে পৃ. ৫৯৫-৯৬ (সুলভ তৃতীয় পৃ ৭৬০) দ্রষ্টব্য । ‘পরিণয়মঙ্গল” কবিতাটি সুরেন্দ্ৰনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠা কন্যা জয়শ্ৰী দেবী ও কুলপ্ৰসাদ সেনগুপ্তের বিবাহ (‘জয়া-মটীরু—শুভসম্মিলন’) উপলক্ষে রচিত হয় । বরাহনগরের পারুল দেবী রবীন্দ্রনাথকে নাতনিরূপে কয়েকবার ভ্ৰাতৃদ্বিতীয়ার ফোটা ও শ্রদ্ধার্ঘ্য পাঠাইয়াছিলেন । ‘ভাইদ্বিতীয়া” কবিতাটি ১৩৪৩ সালের (ইং ১৯৩৬) ভ্ৰাতৃদ্বিতীয়ার আশীবাদস্বৰূপ পারুল দেবীকে প্রেরিত হয় । রবীন্দ্রনাথ ইংরেজী ১৯৩৭ সালের ১৪ জানুয়ারি তারিখে শান্তিনিকেতন হইতে তাহাকে যে পত্ৰ লেখেন তাহার কয়েকটি পঙক্তি আলোচ্য কবিতা-প্রসঙ্গে উদ্ধারযোগ্য — বাংলাদেশের সমস্ত দিদি জাতীয়ার স্তবগানকে তোমার বন্দনাগানের সঙ্গে জড়িয়ে দিয়েছি । এটা তোমার পছন্দ হয় নি । তবু বরনাগরিকই অগ্রগণ্যা হয়ে রইল এটা তুমি উপলব্ধি করলে না। কেন ? দেবীর কোপ দূর হােক প্ৰসন্ন হয়ে তিনি বরদানস্বৰূপে বডি দান করুন। এই আমার প্ৰত্যাশা . . . —“রবীন্দ্রনাথের চিঠি পারুল দেবীকে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশন বিভাগ, শ্রাবণ ১৩৯৪, পৃ. ৫১-৫২ রাধারানী দেবীর দেীতে রবীন্দ্রনাথ ‘অপরাজিতা দেবী'র ১৬ জুন ১৯৩৮ তারিখের একটি কবিতায়-লেখা নাতিদীর্ঘ পত্ৰ পান । পত্রটির শেষাংশে লেখিকা জানাইয়াছিলেন বিবিরাগ জানি, কবি, বাদলেও ফিক না।-- তাই চাই উত্তর । (না জানিয়ে ঠিকানা) ।