পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় とbra দুটাে শ্লোক তোমাকে পাঠাই নি— উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়েছে, অতএব এখন পাঠাই । কবিতার প্রথম অংশের সঙ্গে জুড়ে নিয়ে পাঠ কোরো । —বিশ্বভারতী পত্রিকা, পৌষ ১৩৪৯. পূ. ৩৭৫ ‘নামকরণ” কবিতার দ্বিতীয় স্তবক ‘গল্পসল্প” গ্রন্থের ‘চণ্ডী" গল্পে ব্যবহৃত হইয়াছে । উক্ত গ্রন্থের ‘চন্দনী’ গল্পের শেষে যে কবিতা আছে তাহা এই কবিতার শেষ স্তবকটির কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত নূতন রূপ । ‘নবীর কর্তব্য’ কবিতাটি ‘আন্নাকালী পাকড়শী’র ছদ্ম-স্বাক্ষরে ‘অলকা পত্রিকায় বাহির হয় । এই উপলক্ষে অন্য বহু ছদ্মনামও ভাবা হইয়াছিল । এই কবিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য 'মংপুতে রবীন্দ্রনাথ (বৈশাখ ১৩৬৪) গ্রন্থের ২ ১০-১১ পৃষ্ঠায় পাওয়া যাইবে । ‘মধুসন্ধায়ী কবিতা কয়টি “মংপু-নিবাসিনী মৈত্ৰেয়ী দেবীকে লিখিত’ ! আলোচ্য কবিতাধারার পরিশেষ-স্বরূপ নিম্নমুদ্রিত কবিতাটি মৈত্ৰেয়ী দেবী –কর্তৃক সম্পাদিত “পচিশে-বৈশাখ হইতে সংকলন করা হইল বিবিধজাতীয় মধু গেল। যদি পাওয়া তবুও রয়েছে কিছু বাকি দাবি-দাওয়া । এখন স্বয়ং যদি আসিবারে পার” তা হলে মাধব ঋণ বেড়ে যাবে আরো । আহারের কালে মধু রহে বটে পাতে, কিন্তু কোথা, দান করেছিলে যেই হাতে ; ডাকযোগে সাড়া পাই, থাক দূরদেশীমোকাবিলা দেখাশোনা দাম ঢের বেশি । পদ্যশিখরেব পানে কবি মধু-সখা উড়েছিল মধুগন্ধে, গদ্য উপত্যকা করিবে আশ্রয় আজি স্পষ্টভাষণের প্রয়োজনে | দুরারোহ তব আসনের । ঠাই-বদলের আমি করিতেছি। আশা, সংশয় না থাকে কিছু তাই এই ভাষা । > > * > •80 “মিলের কাব্য নিম্নোদধূত গদা ভূমিকা-সহ ‘কবিতা পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছিল— ১৯ | ১{৪১ তারিখের কথা । সন্ধ্যা হয়ে গেছে ৷ বসে আছি শয়নকক্ষে কেদারায় হেলান দিয়ে । আমি ঠাট্টা করে বলে থাকি, আমার জীবনের প্রথম পালা কল্যাণরাগে, তখন সুস্থ শরীরে চলাফেরা চলত ; দ্বিতীয় পালা এই কেদারা রাগিণীতে অচল ঠাটে বাধা । আকাশ ছিল মেঘলা, ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে, বৃষ্টি হচ্ছে টিপ টিপ করে । সুধাকান্ত বসে আছে পাশের চৌকিতে । হঠাৎ আমাকে বকুনি পেযে বসল। একটা কথা শুরু করলুম। অকারণে, বলে গেলুম। : যখন মনে ভাবি কিছু একটা হল, সুখদুঃখের তীব্ৰতা নিয়ে এমন করে হল যে কোনো কালে তার ক্ষয় হবে বলে ধারণাই হয় না, ঠিক সেই মুহূর্তেই মহাকাল পিছনে ব’সে ব’সে মুখ ঢেকে তার চিহ্নগুলো মুছতে শুরু করে দিয়েছেন । কিছুকাল পরে দেখি, সাদা হয়ে গেছে ; মনে যদি বা স্মৃতি থাকে। তবু যে-অনুভূতি তার সত্যতার প্রমাণ আজ লেশমাত্র তাব বেদনা নাই । তা হলে যেটা হল শেষ পর্যন্ত সেটা কী । সংস্কৃত শ্লোকে প্রশ্ন আছে, রঘুপতির অযোধ্যাপুরী গোল কোথায় । রঘুপতির অযোধ্যা বহু লোকের বহু কালের নানাবিধ সুস্পষ্ট অনুভূতিতেই প্রতিষ্ঠিত, সেই বিপুল অনুভূতি গেল শূন্য হয়ে । তা হলে যা ছিল সে কী ছিল । মস্ত একটা ‘না প্ৰকাণ্ড