পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

とがbrbr রবীন্দ্র-রচনাবলী একটা ‘হ’য়ের আকার ধরেছিল । নাস্তিত্ব সে অস্তিত্বের জাল গেথেই চলেছে, আবার সে জাল গুটিয়ে নিচ্ছে নিজের মধ্যে । এই দুর্বোিধ রহস্যকে বাস্তব বলব কেমন করে । এই যে ইন্দ্ৰজাল এর মধ্যে দুইয়ের মিল চলেইছে, তাই একে মিত্ৰাক্ষর কাব্য বলতে হবে- একের উপাদানে সৃষ্টি হয়ই না | সৃষ্টি জোড়-মিলনের কাব্য । গদ্যের ধারা শেষকালে মুখে মুখে ছড়ার ছন্দে লাইনে লাইনে গাট বেঁধে চলল। অসুস্থ শরীরে ও আমার একটা অপ্রকৃতিস্থতার লক্ষণ হয়ে উঠেছে । সুধাকান্ত এরই ফলের প্রত্যাশায় বসে থাকেন । আজ বাদলসন্ধ্যায় হাজরে দেওয়া তিনি কাজে লাগিয়েছেন তার প্রমাণ দিই।-- —কবিতা, চৈত্র ১৩৪৭, পৃ. ১ কবিতাটির শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রসদনে সংরক্ষিত পাণ্ডুলিপি মুখ্যাত কবির স্বহস্তে লেখা ; ১৩৪৭ চৈত্রের কবিতা পত্রে নাই এমন দুটি ছত্ৰ : দিদিমণি, বাস্তব নাও নিশ্চয় তা জেনে । বিশ্বকবির স্বপ্ন বললে রাগ কোরো না যেন । তাহাতে পাওয়া যায | রচনার সমসময়ে যে টাইপ-কপি প্ৰস্তুত করা হয অতিবিক্ত ঐ দুই ছত্ৰ তাহাতেও বর্তমান । কবিতা পত্রের ‘কপি’তে “ছাড়” হয় অথবা কবি পরে ঐ দুটি ছত্ৰ যোগ করেন নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও সম্পূৰ্ণ যে পাঠ বর্তমানে পাওয়া যায়, তাহা প্ৰহাসিনী স্বতন্ত্র গ্রন্থেব ১৩৯১ বৈশাখ সংস্কবণে সংকলিত | রচনার স্থান-কালও সংরক্ষিত কপি অনুসারে । আকাশপ্ৰদীপ৷ ‘আকাশপ্ৰদীপ’ ১৩৪৬ সালের বৈশাখ মাসে প্রকাশিত হয় ৷ প্ৰথম সংস্কবণেব আখ্যাপত্রে মুদ্রণ/প্রমাদের ফলে প্রকাশকাল ( ১৩৪৫' ছাপা হইয়াছিল । রবীন্দ্রসদনে রক্ষিত পাণ্ডুলিপি প্রভূতির সাহায্যে কয়েকটি কবিতায় রচনার কাল ও স্থান সংযোজিত এবং প্রযোজনবোধে সংশোধিত হইযাছে ৷ ‘ বেজি’ কবিতা দ্রষ্টব্য । ১৩৪৪ সালের গ্রীষ্মে আলমোড়ায় অবস্থানকালে বাচিত “যাত্ৰাপথ’ কবিতাটি বাদে ‘আকাশপ্ৰদীপ’এর অন্যান্য প্ৰায় সমস্ত কবিতা ১৩৪৫ সালের আশ্বিন হইতে চৈত্র পর্যন্ত সাত মাস কালের মধ্যে শান্তিনিকেতনে রচিত । অধিকাংশ কবিতাই সাময়িক পত্ৰে প্ৰথম প্রচারিত না হইয়া একেবারে গ্রন্থমধ্যে সন্নিবিষ্ট হয় । চারটিমাত্র কবিতার পত্রিকায় প্রকাশের সূচী নিম্নে দেওয়া হইল 97-V9fe প্রবাসী | কার্তিক ১৩৪৫ পাখির ভোজ প্রবাসী । ফায়ুন ১৩৪৫ সময়হারা প্রবাসী । মাঘ ১৩৪৫ “ঢাকিরা ঢাক বাজায় খালে বিলে’ প্ৰবাসী । বৈশাখ ১৩৪৬ “যাত্ৰাপথ’, ‘স্কুল-পালানে’, ‘ধ্বনি', ‘বধূ, 'জল', 'শ্যামা’, ‘কাচা আম’— এই কয়টি কবিতা প্রসঙ্গে ‘জীবনস্মৃতি'র আরম্ভের কয়েক পরিচ্ছেদ (রবীন্দ্র-রচনাবলী, সপ্তদশ খণ্ড : সুলভ নবম খণ্ড দ্রষ্টব্য) ও ‘ ছেলেবেলা’ গ্রন্থটির কোনো কোনো অংশ বিশেষভাবে তুলনীয় ।