পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় a の> তাকিয়ে থাকে নিমেষাহারা দিনশেষের প্রথম তারা ছায়াঘন কুঞ্জবনে মন্দমৃদু গুঞ্জরণে বাতাসেতে জাল বুনে দেয় মন্দির তন্দ্রাব । তুমি তখন লীলার কর্ণধার গোধূলিতে পাল তুলে দাও ধূসরচ্ছন্দার । অস্তরবির ছায়ার সাথে লুকিয়ে আধার আসন পাতে । ঝিল্লিরবে গগন কাপে, দিগঙ্গানা কী জপ জাপে, হাওয়ায় লাগে মোহপরশ রজনীগন্ধার । তুমি তখন লীলার কর্ণধার নীরব সুরে বেহাগ বাজাও বিধুব সন্ধ্যাব । রাতের শঙ্খকুহার ব্যেপে ওঙ্কাররব ওঠে কেঁপে । বিশ্বকেন্দ্ৰগুহা হতে প্ৰতিধ্বনি অলখি স্রোতে শন্যে করে নিঃশবদের তবঙ্গ বিস্তার } তুমি তখন লীলার কর্ণধার তারার ফেনা ফেনিয়ে তোলো আকাশগঙ্গার । মংপু S 8 i S C) { xSDS আলোচ্য কবিতার সানাইয়ে মুদ্রিত পাঠের অন্তিম স্তবকটি সর্বশেষে সংযোজিত হয় । তৎপূর্বে “উদীচী ২৫।১।৪০’ তারিখের রচনা অনুযায়ী (পাণ্ডুলিপি) কবিতাটি প্রথম পাচ স্তবকে সমাপ্ত छ्ळित ! ‘আসা-যাওয়া" কবিতার সহিত তুলনীয় সমকালীন একটি রচনা কৌতুহলী পাঠকদেব জন্য পাণ্ডুলিপি হইতে উদধূত হইল ; ইহাকে আলোচ্য কবিতার পূর্বপাঠ বলা সমীচীন না হইলেও ভাবের বিচারে পূর্বাভাস বলা চলে— নির্জন রাতে নিঃশব্দ চরণপাতে কেন এলে, দুয়ারে মম স্বপ্নের ধন সম এ যে দেখি তব কণ্ঠের মালা এ কী গেছ ফেলে, জাগালে না শিয়রে দীপ জেলে