পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ܠ ܠܹ ܘ ব্যবহৃত এই চারটি গান দ্বিতীয় সংস্করণে বর্জিত হইয়াছে ১ । হারে রে রে রে রে ২ ! হে মাধবী, দ্বিধা কেন ৩ । হে নিরুপমা ৪ । তুমি কোন পথে যে এলে, পথিক ১৭৪ পৃষ্ঠার শেষে মুদ্রিত রাজপুত্রের স্তবগানটি প্রথম সংস্করণে পূর্ণতর আকারে এইরূপ छिळ्न জয় জয় তাসবংশ-অবতংস । ক্রীড়াসরাসীনীরে রাজহংস । তাম্রকুট-ঘন-ধুম-বিলাসী, তন্দ্ৰান্তীরনিবাসী সব-অবকাশ-ধবংস যমরাজেরই অংশ । ‘তাসের দেশ” রচনাটি, ১২৯৯ আষাঢ়ের ‘সাধনা' পত্রিকায় প্রথম প্ৰকাশিত ও ‘গল্পগুচ্ছ গ্রন্থের অন্তৰ্গত একটা আষাঢ়ে গল্প অবলম্বনে রচিত । রবীন্দ্র-রচনাবলীর সপ্তদশ খণ্ডের ১৭২-৮০ পৃষ্ঠা (সুলভ নবম খণ্ডের পৃ ৩১১-১৬) দ্রষ্টব্য । বঁশরি “বাঁশরি ১৩৪০ সালের অগ্রহায়ণ মাসে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় । তৎপূর্বে ১৩৪০ সালে ভারতবর্ষ পত্রিকার কার্তিক অগ্রহায়ণ ও পৌষ সংখ্যায়। উহা ধারাবাহিক ভাবে মুদ্রিত হইয়াছিল । গল্পগুচ্ছ বর্তমান গ্রন্থে সংকলিত প্ৰথম দশটি গল্পের মধ্যে ‘সবুজ পত্ৰ মাসিক পত্রিকায যথাক্রমে ১৩২১ সনের বৈশাখ-কার্তিক সাত মাসে এবং বাকি তিনটি ১৩২৪ সনের জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় এবং পৌষ মাসে প্ৰথম প্রকাশিত হইয়াছিল। } প্রথম সাতটি গল্প প্ৰথমত গল্পসপ্তক ( ১৩২৩) গ্রন্থে সংকলন কবা হয় এবং পয়লা নম্বর (১৩২৭) গ্রন্থে সংকলিত হয় তপস্বিনী’ ও ‘পয়লা নম্বর” । ‘পাত্র ও পাত্রীর প্রথম সংকলন বিশ্বভারতীসংস্করণ গল্পগুচ্ছের তৃতীয় খণ্ডে (১৩৩৩) ; উহাতে পূর্বোক্ত নয়টি গল্পও পুনমুদ্রিত হয় । “স্ত্রীর পত্ৰ’ প্ৰকাশিত হইলে উহা বঙ্গসাহিত্যসমাজে বিশেষ আন্দোলনের কারণ হইয়াছিল ; তৎকালীন নারায়ণ প্ৰভৃতি পত্রে তাহার নিদর্শন আছে। ‘শেষের রাত্রি’ গল্পটিকে “গৃহপ্ৰবেশ (১৩৩২) নামে রবীন্দ্রনাথ নাট্যরূপ দান করিয়াছেন । রবীন্দ্র-রচনাবলীর সপ্তদশ খণ্ড (সুলভ নবম) দ্রষ্টব্য ।

  • বোষ্টমী গল্পের বোষ্টমীর উল্লেখ রবীন্দ্রসাহিত্যে অনেক স্থানেই পাওয়া যায় ; রবীন্দ্ৰনাথের বিভিন্ন গল্প-উপন্যাস সম্পূর্ণই কল্পনাপ্রসূত না বাস্তবে তাহার কিছু মূল আছে, সে সম্বন্ধে অনুসন্ধিৎসু কোনো পাঠিকার প্রশ্নোত্তরে লিখিত এই পত্ৰখণ্ড এই প্রসঙ্গে দ্রষ্টব্য

বোষ্টমী অনেকখানিই সত্যি । এই বোষ্টমী স্বয়ং আমার কাছে এসে গল্প বলত । শেষ অংশটায় কিছু বদল করেচি। বোষ্টমী গুরুকে যে ত্যাগ করেছিল সেটা সত্য নয়— সংসার ত্যাগ করেছিল বটে ; -পত্ৰধারা, প্রবাসী, শ্রাবণ ১৩৩৯, পৃ. ৪৫১