পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় SS দাপট আমি তার দেখি নি— দরিদ্রনারায়ণের পূজারির মস্ত একটা তিলক তার কপালে কাটা নেই । তার কলমে গ্রামের যে-সব চিত্র দেখেছি তাতে তিনি সহজে ঠিক কথাটি বলেছেন বলেই ঠিক কথা বলবার কারি-পাউডারি ভঙ্গিটা তার মধ্যে দেখা দেয় নি । -প্রবাসী, অগ্রহায়ণ ১৩৩৪, পৃ. ২১৭ পূর্বদ্বীপপুঞ্জ হইতে দেশে ফিরিয়া ১০ অগ্রহায়ণ ১৩৩৪ তারিখে দিলীপকুমার রায়কে রবীন্দ্রনাথ একটি পত্র লেখেন ; প্রাসঙ্গিকবোধে উহার শেষাংশ নিম্নে সংকলিত হইল “সাহিত্যধর্ম বলে একটা প্ৰবন্ধ লিখেছি। তার কর্মফল চলছে। তাঁর ভোগ ফুরোতে না ফুরোতেই ‘সাহিত্যে নবত্ব’ ব’লে আরো একটা লেখা হয়েছে । তোমার সঙ্গে বাক্যালোচনাতেও সাহিত্যতত্ত্ব চর্চা কিছু পরিমাণে আছে-- এতে ক’রে যে একটা আলোডন জাগিয়েছে তাতে ক্ষতি নেই । কেননা, পূর্বেই বলেছি, সাহিত্যলোকে চাঞ্চলটাের খুব প্রয়োজন আছে । সিদ্ধান্তে পৌছনোটা খুব বেশি দরকারি নয়- দেখতেই পাচ্ছি, এক যুগের সিদ্ধান্ত আর-এক যুগে উলট-পালট হয়ে যায়, কেবল মনের মধ্যে নিয়তচিন্তার চাঞ্চলটািই থাকে । মানুষের মন শেষ কথায় যখন এসে পৌছয় তখন নীরবতার সমুদ্র । সেখানে তার কথার কারবার বন্ধ করতে মানুষের আপত্তি আছে ; কেননা, মনটা নাড়া না পেলে একেবারে সে বেকার । এইজন্যে বারে বারে সত্য সিদ্ধান্তকেও মানুষ তার সংশয়ের খোচা মেরে বিপর্যস্ত করে তোলে— যুগে যুগে তাই চলছে । আমরা সত্যকে পেতে চাই শুধু কেবল পাওয়ার জন্যে নয়, চাওয়ার জন্যেও । এই কারণে আমাদের ভালোবাসার মধ্যে ঝগড়ার স্থানটা খুব বড়ো , হারানোটা পাওয়ার প্রধান বন্ধু— কেননা, ফিরে ফিরে না পেতে থাকলে সম্পূৰ্ণ পাওয়া হয় না । অতএব, সাহিত্যতত্ত্ব নিয়ে সাবেক কালের সঙ্গে হাল আমলের যে ঝগড়া চলছে তার মূলে মানুষের এই স্বভাবটাই কাজ করছে, যাকে আশ্রয় করে তাকে সে আঘাত ক’রে সন্দেহ করে- তার পরে আবার দ্বিগুণ জোরের সঙ্গে তার কাছে ফিরে আসে । --অনামী, পত্রগুচ্ছ, পৃ. ৩৪৩ “সাহিত্য বিচার' প্ৰবন্ধটি কলিকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে রবীন্দ্রপরিষৎ-সভায় প্রদত্ত মৌখিক ভাষণের কবির স্বকৃত স্মৃতিলেখন । প্ৰবন্ধটির বর্জিত আরম্ভভাগ প্রবাসী হইতে সংকলিত হইল রবীন্দ্রপরিষৎ সভায় ‘সাহিত্য বিচার' সম্বন্ধে যে আলোচনা করেছি, সেইটি লিখে দেবার জন্যে আমার পরে অনুরোধ আছে । মুখে-বলা কথা লিখে বলায় নূতন আকার ধারণ করে !! তা ছাড়া আমি বা মতো অসাধারণ বিস্মৃতি-শক্তিশালী লোক এক দিনের কথিত বাণীকে অন্য দিনে যথাস্থরূপে অনুলেখনে অক্ষম । অতএব সেদিনকার বাক্যের ইতিহাস অনুধাবনের বৃথা চেষ্টা না ক’রে বক্তবা বিষয়টার প্রতিই লক্ষ করব } প্ৰথমে বলে রাখি, যাকে সাধারণত আমরা সাহিতা-সমালোচনা বলি সাহিতাবিচার শব্দটাকে আমি সেই অর্থে ব্যবহার করেছি । আলোচনা অর্থে বুঝি পরিক্রমা, বিষয়টির উপর পায়চারি করে বেড়ানো আর বিচারটি হল পরিচয়- তাকে যাচাই করা ; বিশেষ রচনার পরিচয় দেওয়াই সাহিতাবিচারের লক্ষ্য । কিন্তু, পরিচয় তো অনেকরকম আছে ? আমরা প্রায়ই তুঢ়ল করি, এক পরিচয়ের জায়গায় আর-এক পরিচয় দাখিল করি যেখানে এক প্লাস জল অম্লান: অ্যাবশ্যক? সখানে তাড়াতাডি এনে দিই। আধখানা (বিল জলের চেয়ে বলে ভার আছে, সারা আছে, HBB BBBB SBBB BB BBD SDBBDSDBDD S BB BDD DBBD BDBD uB SB DBBS S DBYB DBDB ?iびE হিতাবিচারে পরিচয়টি সাহিত্যিক পরিচয় হওয়া চাই, এ কথা বলাই বাহুলা , কিন্তু, ভাগ্যদোষে আমাদের দেশে বাহুল্য নয় । কল্পনা করা, যাক, আমাদের সভাপতি সুরেন্দ্রনাথ