পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় SV ‘ ছোটাে ও বড়ো” প্রবন্ধে, বর্তমান খণ্ডের ১৫৬২ পৃ. ৭ ছত্ৰে ‘ ছোটাে ইংরেজের জোর কত” ইত্যাদি বাক্যের পূর্বে, এই অতিরিক্ত রচনাংশ প্রবাসীতে ছিল— দুষ্টান্তগুলো একবার আবৃত্তি করিয়া দেখা যাক ।। ধরিয়া লিও আনি বেসান্ট অপরাধী । কিন্তু আনি বেসান্টকে বড়ো ইংরেজ ক্ষমা করিয়াছেন । ছোটাে-ইংরেজ তাই লইয়া আজও গর্জাইতেছে । অপ্ৰিয় হইলেও accomplished factাকে শেলের মতো বুকে বিধাইয়া গোপালের মতো চুপ করিয়া থাকিতে মলি আমাদিগকে পাটিশেনের সময় উপদেশ দিয়াছিলেন । ছোটো-ইংরেজকে ইস্কুলমাস্টারের গভীর গলায় সে উপদেশ দিতে কেহ সাহসই করে না । তাই তঁরা এই ক্ষমার কথা লইয়া পার্লামেন্টে পর্যন্ত ক্ষণে ক্ষণে ভূমিকম্প বাধাইতেছেন । ইহারা ক্ষমা করার অপরাধ কোনোমতেই ভুলিতে পারেন না, কিন্তু নির্বিচারে শাস্তি দিবার জন্য ইহারা কারও কৈফিয়ত তলব করেন না । তারা বলেন শাস্তি যখন দেওয়া হইয়াছে তখন ধরিয়া লইতে হইবে অপরাধ আছেই । যে তাহাতে আপত্তি করে সে extremist } আবার দেখো, পাঞ্জাবের ছোটােলাট বড়োলাট-সভার রাজতত্তের পাশে দাড়াইয়া ভারতের প্রজাদের সম্বন্ধে মুখ সামলাইয়া কথা কহেন নাই, সেজন্য কর্তপক্ষ খুব মৃদুস্বরে তাকে উপদেশ দিয়াছিলেন । ইহারই খেদ ছােটাে-ইংরেজ কিছুতেই ভুলিতে পারেন না । অথচ মন্টেগু সাহেব তার বর্তমান পদপ্রাপ্তির পূর্বে ভারত-আমলাতন্ত্র সম্বন্ধে দুই-চারটে স্পষ্ট কথা বলিয়াছিলেন, তাই লইয়া কেবল যে গালিগালাজের সাইক্লোন বহিতেছে তা নয়, মন্টেগু সাহেবের শক্তি ও স্বাধীনতার ਨੂਝ ਲਇ গিয়াছে । —প্রবাসী । অগ্রহায়ণ ১৩২৪, পৃ. ১২৭-২৮ উক্ত প্ৰবন্ধে, বর্তমান খণ্ডের ৫৬৮, পৃ: ১২ ছত্রে “আমাদিগকে নিজের শক্তিতেই” ইত্যাদি বাক্যের পর্বে প্রবাসীতে পাওয়া যায়— উপকরণ মাত্র সে সাম্রাজ্য আমাদের নহে । যে সাম্রাজ্যগঠনে আমাদিগকেও কবিগার নিযুক্ত করা হইবে তাঁহাই আমাদের । সেই সাম্রাজ্যে আমরা প্ৰাণ পাইব এবং সেই সাম্রাজ্যের জনা আমরা প্ৰাণ দিব । —প্ৰবাসী । অগ্রহায়ণ ১৩২৪, পৃ. ১৩৪ “সত্যের আহবান’ (ও “শিক্ষার মিলন' ) প্ৰবন্ধ দুইটি কলিকাতার জনসভায় পাঠ করিয়া রবীন্দ্রনাথ, মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে যে অসহযোগ আন্দোলন চলিতেছিল। সে সম্বন্ধে স্বীয় অভিমত দেশবাসীকে জ্ঞাপন করেন । “সমস্যা’ প্ৰবন্ধ সম্বন্ধে রবীন্দ্ৰনাথ অমিয় চক্রবর্তীকে লিখিয়াছেন— “সমস্যা বক্তৃতাটাকে বহুল পরিমাণে মেজে ঘষে জনসভায় একদিন পড়েছিলুম। অধিকাংশ লোক বলছে কিছু বোঝা গেল না— সেটা একেবারে বাজে কথা- আসলে, ওদের বুঝতে ভালো লাগছে না । কেউ কেউ বলে আমার কথাগুলো কবির মতো, শুনতে ভালো, কাজে ভালো নয় । আর কিছুদিন পরে এই কথাগুলো তারা আওড়াবে- অমানবদনে বলবে ওগুলো তাদেরই চিরদিনের নিজের ভাবা কথা । ২৪ আশ্বিন ১৩৩০ -শারদীয়া সংখ্যা, দৈনিক বসুমতী ১৩৫৪ ‘সমাধান” প্ৰবন্ধটির উপসংহার প্রবাসীতে অন্যরূপ ছিল । বর্তমান খণ্ডে ৬১১ পৃ. ২৫ ছাত্রের অনুক্রমে ছিল এইখানে গীতার উপদেশ আমাদের মনে করিয়ে দিতে হয় যে, কাজেরই অধিকার আমাদের, ফলের অধিকার নয় । আশুফলের প্রতি অতিশয় লোভ করেই আমরা জাদুকরের শরণাপন্ন হই ; ফলের বদলে ফলের মরীচিকা দেখে নৃত্য করতে থাকি । তাতে সময়ও নষ্ট নয়, বুদ্ধিও নষ্ট হয়,