পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b〜br রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী যখন সে আসি প্ৰণমিল ভূপে, মন্ত্রী রাজারে অতি চুপে চুপে কী করিলা নিবেদন । “ দেহো ঐরে টাকা পঞ্চ৪ হাজার ।” “সাধু সাধু কহে সভার মাঝার যত সভাসদজন। পুলক প্ৰকাশে সবার গাত্ৰে— * এ— যে দান ইহা যোগ্য পাত্ৰে, দেশের আবালবনিতা-মাত্রে ইথে না মানিবে দ্বেষ ।” সাধু নুয়ে পড়ে নম্ৰতাভারে, দেখি সভাজন “অ্যাহা—আহা৷” করে, মন্ত্রীর শুধু জাগিল। অধরে ঈষৎ হাস্যালেশ । অ্যাসে গুটি গুটি বৈয়াকরণ ধুলি-ভরা দুটি লইয়া চরণ চিহিন্ত করি রাজাস্তরণ পবিত্ৰ পদপহোক । ললাটে বিন্দু বিন্দু ঘৰ্ম, বলি—অঙ্কিত শিথিল চর্ম, প্রখরমূর্তি অগ্নিশর্ম, ছাত্র মারে অ্যাতন্ধে । কোনো দিকে কোনো লক্ষ না ক’রে পড়ি গেল শ্লোক বিকট হঁহা ক’রে, চিবাইল যেন দাতে । কেহ তার নাহি বুঝে আগুপিছু, সবে বসি থাকে মাথা করি নিচু ; রাজা বলে, “ঐরে দক্ষিণা কিছু দাও দক্ষিণ হাতে ।” তার পরে এল গনৎকার, গণনায় রাজা চমৎকার, টাকা ঝন ঝন ঝনৎকার বাজায়ে সে গেল চলি । আমাসে এক বুড়া গণ্যমান্য রাজা তার প্রতি অতি বদ্যান্য ভরিয়া দিলেন। থলি । আসে নটভাট রাজপুরোহিত কেহ একা কেহ শিষ্য-সাহিত,