পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী মগন চাচনত নেন । যে জন শুনেছে সেন অনাদি ধবনি ভাসায়ে দিয়েছে হৃদয়তরণী ; জানে না। আপনা, জানে নানা ধরণী, সংসার- কোলাহল । সে জন পাগল, পরান বিকল—— ভবকূল হতে ছিডিয়া শিকল কেমনে এসেছে। ছাভিয়া সকল, ঠেকেছে চরণে তব । তোমার আমলকম মনগাস্থলী হৃদয়ে ঢালিছে মহা-অনিন্দ — অপূৰ্ব্ব গীত আলোক ছন্দ শুনিছ নিত্য নব । বাজুক সে বীণা, মজুক ধারণী ; বারোকের তীরে অতুলা ও জননী, কে বড়ো কে ছোটো, বেশ দীন কে ধনী, কেবা অ্যাগে কেবা পিছে?---- কার জয় হলে কার পরাজয়, কাহার বৃদ্ধি করা হল ক্ষয়, কেবা ভালো আর কেবা ভালো নয়, কে উপরে রেকবা নীচে । গাথা হয়ে যাক এক গীত বাবে ছোটো জগতের ছোটোবাভো সবে, সুখে পড়ে রবে পদ পল্লাবে যেন মালা এক খানি । তুমি মানসের মাঝখানে আসি দাড়াও মধুর মুরতি বিকাশি, কুন্দ বরন সুন্দরহাসি বীণা হাতে বীণাপাণি । ভাসিয়া চলিবে রবি শশীতারা তব সংগীত স্রোতে । দেখিতে পাইব ব্যোমে মহাকাল ছন্দে ছন্দে বাজাইছে। তাল, দশ দিকবন্ধু খুলি কেশজাল এতেক বলিয়া স্মক্ষণপারে কবি করুণ কথায় প্ৰকাশিল, ছবি পুণ্যকাহিনী রঘুকুল রবি রাঘবের ইতিহােসন SS