পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܟܠ ܣ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ঝকর্মর সংগীতে, ছুটিছে শুন্যে উদ্দেশহারা— সেথা হতে টানি লব গীতধারা ছোটো এই বঁাশরিতে । ধরণীর শ্যাম করপুটখানি বাতাসে মিশায়ে দিব এক বাণী মধুর—অর্থ-ভরা । ঐএকে দিয়ে যাব ঘনতর ছায়া, বাসস্তীবাস-পরা । ধরণীর তলে গগনের গায় সাগরের জলে অরণ্য-ছায় আরেকটুখানি নবীন আভায় রঙিন করিয়া দিব । সংসার মাঝে দু-একটি সুর রেখে দিয়ে যােব করিয়া মধুর, দু-একটি বঁকাটা করি দিব দূর— তার পরে ছুটি নিব । সুখহাসি আরো হবে উজ্বল, স্নেহ-সুধামাখা বাসগৃহতল আরো আপনার হবে । প্ৰেয়সী নারীর নয়নে অধরে আরেকটু মধু দিয়ে যাব। ভরে, আরেকটু স্নেহ, শিশুমুখ—”পরে শিশিরের মতো। রবে । না পারে বুঝাতে, আপনি না বুঝে, মানুষ ফিরিছে কথা খুঁজে খুঁজে, কোকিল। যেমন পঞ্চমে কুজে মাগিছে তেমনি সুর— কিছু ঘুচাইব সেই ব্যাকুলতা, কিছু মিটাইব প্ৰকাশের ব্যথা, বিদায়ের আগে দু-চারিটিা কথা রেখে যাব সুমধুর। থাকো হৃদাসনে জননী ভারতী—