পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 نے তাই আজি কোনোদিন- শরৎ-কিরণ পড়ে যাবে পাকশীর্ষ স্বৰ্ণক্ষেত্ৰ-’পরে, নারিকেল দলগুলি কঁকাপে বায়ুভরে আলোকে বিকিয়া, জাগে মহাব্যাকুলতা— মনে পড়ে বুঝি সেই দিবসের কথা মন যাবে ছিল মোর সর্বব্যাপী হয়ে আকাশের নীলিমায় । ডাকে যেন মোরে অব্যক্ত আহবানরবে শতবার করে সমস্ত ভুবন ; সে বিচিত্র সে বৃহৎ খেলাঘর হতে মিশ্রিত মমরিবৎ শুনিবারে পাই যেন চিরদিনকার HuBDDDBD DBuDDBB BDDuDuSDOBBDB পরিচিত রব । সেথায় ফিরায়ে লাহো মোরে আরবার ; দূর করো সে বিরহ যে বিরহ থেকে থেকে জেগে ওঠে। মনে হেরি যাবে সম্মুখেতে সন্ধ্যার কিরণে বিশাল প্ৰান্তর, যাবে ফিরে গাভটাগুলি দূর গোষ্ঠে মাঠপথে উড়াইয়া ধূলি, সন্ধ্যাকাশে ; যবে চন্দ্ৰ দূরে দেয় দেখা শ্রান্ত পথিকের মতো অতি ধীরে ধীরে নদী প্ৰান্তে জনশূন্য বালুকার তীরে, মনে হয় আপনারে একাকী প্ৰবাসী নির্বাসিত, বাহু বাড়াইয়া ধেয়ে আসি সমস্ত বাহির খানি লইতে অস্তরে— এ আকাশ, এ ধরণী, এই নদী-’পরে শুভ্ৰ শান্ত সুপ্ত জ্যোৎসারাশি ! কিছু নাহি পারি। পরশিতে, শুধু শূন্যে থাকি চাহি বিষাদব্যাকুল । আমারে ফিরায়ে লাহাে সেই সৰ্বমাঝে, যেথা হতে অহরহ অকুরিছে মুকুলিছে মুঞ্জরিছে প্ৰাণ শতেক সহস্ররূপে, গুঞ্জরিছে গান অসংখ্য ভঙ্গিতে, প্ৰবাহি যেতেছে চিত্ত ভাবস্রোতে, ছিদ্রে ছিদ্রে বাজিতেছে বেণু ; তরুলতা পশুপল্মকী কত অগণন তৃষিত পরানি যত ; আনন্দের রস কতরূপে হতেছে। বর্ষণ, দিক দশ