পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৬

ফাল্লুন S \) O O ܘܶ fԵՀii দিগন্তের পানে । ধীরে যেতেছে প্রবাহি সম্মুখে আলোকস্রোত অনন্ত অম্বরে নিঃশব্দ চরণে ; আকাশের দূরান্তরে একে একে অন্ধকারে হতেছে বাহির একেকটি দীপ্ত তারা, সুদূর পল্লীর প্ৰদীপের মতো । ধীরে যেন উঠে ভেসে স্নানচ্ছবি ধরণীর নয়ন নিমেষে। কত যুগ-যুগাস্তের অতীত আভাস, কত জীবজীবনের জীর্ণ ইতিহাস । তার পরে প্রজ্বলন্ত যৌবনের শিখা ; তার পরে স্নিগ্ধ-শ্যাম অন্নপূর্ণালয়ে জীবধাত্রী জননীর কাজ বক্ষে লয়ে লক্ষ কোটি জীব- কত দুঃখ, কত ক্লেশ, কত যুদ্ধ, কত মৃত্যু, নাহি তার শেষ । ক্রমে ঘনতর হয়ে নামে অন্ধকার, সুপ্ত নিশ্চেতন । নিঃসঙ্গিনী ধরণীর বিশাল অন্তর হতে উঠে সুগম্ভীর শূন্যপানে— “আরো কোথা ? আরো কত দূর ?” এবার ফিরাও মোরে সংসারে সবাই যাবে সারাক্ষণ শত কর্মেরত, তুই শুধু ছিন্নবাধা পলাতক বালকের মতো মধ্যাহ্নে মাঠের মাঝে একাকী বিষন্ন তরুচ্ছায়ে দূরবনগন্ধবহ মন্দগতি ক্লান্ত তপ্তবায়ে সারাদিন বাজাইলি বাশি। ওরে তুই ওঠ আজি ; আগুন লেগেছে কোথা ? কার শঙ্খ উঠিয়াছে বাজি জাগাতে জগৎ-জনে ? কোথা হতে ধবনিছে ক্ৰন্দনে শূন্যতল ? কোন অন্ধকারামাঝে জর্জর বন্ধনে অনাথিনী মাগিছে সহায় ? স্বকীতকায় অপমান অক্ষামের বক্ষ হতে রক্ত শুষি করিতেছে পান লক্ষ মুখ দিয়া ; বেদনারে করিতেছে পরিহাস স্বার্থোদ্ধত অবিচার ; সংকুচিত ভীত ক্রীতদাস 8 S