পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিত্ৰাঙ্গদা। কী অপূর্ব রূপ। কোমল চরণতলে ধরাতল কেমনে নিশ্চল হয়ে ছিল ? উষার কনক মেঘ, দেখিতে দেখিতে শুভ্ৰ শিরে। অকলঙ্ক নগ্ন শোভাখনি করি বিকশিত , তেমনি বসন তার মিলাতে চাহিতেছিল অঙ্গের লবণ্যে সুখাবেশে । নামি ধীরে সরোবরতীরে কৌতুহলে দেখিল সে নিজ মুখচ্ছায়া ; উঠিল। চমকি । ক্ষণপারে মৃদু হাসি এলাইয়া দিলা কেশপাশ ; মুক্ত কেশ। পড়িল বিহবল হয়ে চরণের কাছে । অঞ্চsল খসায়ে দিয়ে হেরিল অ্যাপন কোমল কাতর, প্রেমের করুণামাখা । দেহতটে যৌবনের উন্মুখ বিকাশ । দেখিলা চাহিয়া নব গৌরাতনুতালে আরক্তিম আলজিজ আভাস , সরোবরে পা—দুখানি ডুবাইয়া দেখিলা আপন চরণের আভা । বিস্ময়ের নাই সীমা । সেই যেন প্ৰথম দেখিল আপনারে । শ্বেত শতদল যেন কোরকবয়স যাপিল নয়ন মুদি— যেদিন প্ৰভাতে প্ৰথম লভিল পূৰ্ণ শোভা, সেইদিন প্ৰথম হেরিলা আপনারে, সারাদিন রহিল চাহিয়া সবিস্ময়ে । ক্ষণপারে, কী জানি কী দুখে, হাসি মিলাইল মুখে, কেশপাশ ; অঞ্চলে ঢাকিল দেহখানি ; নিশ্বাস ফেলিয়া, ধীরে ধীরে চলে গেল ; সোনার সায়াহ্ন। যথা স্নান মুখ করি আঁধার রজনী পানে ধায় মৃদুপদে । ভাবিলাম মনে, ধরণী খুলিয়া দিল ঐশ্বৰ্য আপন । কামনার সম্পূর্ণতা চমকিয়া মিলাইয়া গেল । ভাবিলাম