পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sq \SD bo~ অর্জন । রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী সতত প্ৰস্তুত থাকে বামহস্তসম দক্ষিণহস্তের অনুচর, সে কি ভালো লাগিবে বীরের প্রাণে । বুঝিতে পারি নে আমি রহস্য তোমার। এতদিন আছি, তবু যেন পাই নি সন্ধান । তুমি যেন বঞ্চিত করিছ। মোরে গুপ্ত থেকে সদা ; তুমি যেন দেবীর মতন, প্ৰতিমার অন্তরালে থেকে আমারে করিছ। দান অমূল্য চুম্বনরত্ন, আলিঙ্গনসুধা ; নিজে কিছু চাহ না, লহ না । অঙ্গহীন ছন্দোহীন প্ৰেম, প্ৰতিক্ষণে পরিতাপ জাগায় অন্তরে । তেজস্বিনী, পরিচয় পাই তব মাঝে মাঝে কথায় কথায় । তার কাছে। এ সৌন্দর্যরাশি মনে হয় মৃত্তিকার মূর্তি শুধু, নিপুণ্যচিত্রিত শিল্প যবনিকা । মাঝে মাঝে মনে হয় তোমারে তোমার রূপ ধারণা করিতে পারিছে না। আর, কঁাপিতেছে টলমল করি। নিত্যদীপ্ত হাসির অন্তরে ভরা অশ্রদ্ৰ করিতেছে বাস, মাঝে মাঝে ছলছল করে ওঠে, মুহুর্তের মাঝে ফাটিয়া পড়িবে যেন আবরণ টুটি । সাধকের কাছে, প্ৰথমে তে ভ্ৰান্তি আসে মনোহর মায়াকায়া ধরি ; তার পরে সত্য দেখা দেয়, ভূষণবিহীন রূপে আলো করি অন্তর বাহির । সেই সত্য কোথা আছে তোমার মাঝারে দাও তারে । আমার যে সত্য তাই লও ! শ্রাপ্তিইন সে মিলন চিরদিবসের — অশ্রম কেন প্রিয়ে ! বাহুতে লুকায়ে মুখ কেন এই ব্যাকুলতা ! বেদনা দিয়েছি প্ৰিয়তমে ? তবে থাক, তবে থাক । ওই মনোহর রূপ পুণ্যফল মোর । এই—যে সংগীত এ যৌবন যমুনার পরপর হতে, এই মোর বহুভাগ্য । এ বেদনা মোর সুখের অধিক সুখ, আশার অধিক হৃদয়ের ব্যথা বলে মনে হয় প্ৰিয়ে ।