পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৩

S \So BBDLDBD LDDLDDB DuBBDD BBDDDL BDDBL সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার। যেখানে যত মধুর মুখ আছে। বাকি তো কিছু রাখি নি দেখিবার । কেহ বা ডেকে কয়েছে দুটো কথা, কেহ বা চেয়ে করেছে আঁখি নত, কাহারো হাসি ছুরির মতো কাটে কাহারো হাসি আঁমাখিজলেরই মতো । গারবে কেহ গিয়েছে নিজ ঘর, বঁকাদিয়া কেহ চেয়েছে ফিরে ফিরে । কেহ বা কারে কহে নি কোনো কথা, কেহ বা গান গেয়েছে। ধীরে ধীরে । এমনি করে ফিরেছি। দেশে দেশে ; অনেক দূরে তেপাস্তার-শেষে তাহারি গলে এসেছি দিয়ে মালা । একদা রাতে নবীন যৌবনে স্বপ্ন হতে উঠিনু চমকিয়া, বাহিরে এসে দাড়ানু একবার ধরার পানে দেখি নু নিরাখিয়া । শীর্ণ হয়ে এসেছে শুকতারা, পূর্বতটে হতেছে নিশি ভোর । আকাশ-কোণে বিকাশে জাগরণ, ধরণীতলে ভাঙে নি ঘুমঘোর । সমুখে পড়ে দীর্ঘ রাজপথ, আপন মনে ভাবিনু একবার— অামারি মতো আজি এ নিশিশেষে দুগ্ধফেনশায়ন করি আলা। স্বপ্ন দেখে ঘুমায়ে রাজবালা । অশ্ব চড়ি তখনি বহিরিনু, কত যে দেশ-বিদেশ হনু পার । একদা এক ধূসর সন্ধ্যায় ঘুমের দেশে লভিন্নু পুরদ্বার ।