পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুপ্রিয়। भांक्लिी। মালিনী । মালিনী । মালিনী শাস্ত্রসাথে তর্ক করি, নহে তোমা-সনে। সভায় পণ্ডিত আমি, তোমার চরণে বালকের মতো। দেবী, লাহাে মোর ভার। যে পথে লইয়া যাবে জীবন আমার সাথে যাবে, সর্বতর্ক করি পরিহার, নীরব ছায়ার মতো দীপাবর্তিকার। হে ব্ৰাহ্মণ, চলে যায় সকল ক্ষমতা তুমি যবে প্রশ্ন কর, নাহি পাই কথা। বড়োই বিস্ময় লাগে মনে। হে সুপ্রিয়, মোর কাছে কী জানিতে এসেছ তুমিও ? জানিবার কিছু নাই, নাহি চাহি জ্ঞান। সব শাস্ত্ৰ পড়িয়াছি, করিয়াছি ধ্যান শত তর্ক শত মত। ভূলাও, ভুলাও, যত জানি সব জানা দূর করে দাও। পথ আছে শীতলক্ষ, শুধু আলো নাই ওগো দেবী জ্যোতির্ময়ী- তাই আমি চাই একটি আলোর রেখা উজ্জ্বল সুন্দর তোমাব অন্তর হতে । হায় বিপ্রবর, যত তুমি চাহিতে্যুছ আমি যেন তত আপনারে হেরিতেছি। দরিদ্রের মতো । যে দেবতা মর্মে মোর বজালোক হানি বলেছিল একদিন বিদ্যুন্ময়ী বাণী সে আজি কোথায় গেল। সেদিন, ব্ৰাহ্মণ, কেন তুমি আসিলে না ? কেন এতক্ষণ আজি মোর জাগে ভয়, কেঁপে ওঠে হিয়া, কী করিব কী বলিব বুঝিতে না পারি— মহাধৰ্মতরণীর বালিকাকাণ্ডারী নাহি জানি কোথা যেতে হবে। মনে হয় বড়ো একাকিনী আমি-সহস্ৰ সংশয়, বৃহৎ সংসার, অসংখ্য জটিল পথ, নানা প্ৰাণী- দিব্যজ্ঞান ক্ষণপ্রভাবৎ ক্ষণিকের তরে আসে। তুমি মহাজ্ঞানী হবে কি সহায় মোর ? বহু ভাগ্য মানি যদি চাহ মোরে। মাঝে মাঝে নিরুৎসাহ রুদ্ধ করে দেয় যেন প্ৰাণের প্রবাহ থেকে থেকে অকারণ অশ্রািজলে ভাসে \S) AG)\S)