পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRtt রবীন্দ্ৰ— রচনাবলী গ্রীষ্মতাপে উত্মা বাড়ে, ভারি উগ্ৰমূর্তি । ভূমিকা না করি কিছু ঘডি খুলি কয়— “সতেরো মিনিট মাত্র রয়েছে সময়, কথা যদি থাকে কিছু বলো চটপট । সভাসুদ্ধ বলি উঠে— ‘হিং টিং ছট’।” স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান, গৌড়ানন্দ কবি। ভনে, শুনে পুণ্যবান । স্বপ্ন শুনি স্নেচ্ছামুখ রাঙা টকটকে, আগুন ছুটিতে চায় মুখে আর চোখে । হানিয়া দক্ষিণ মুষ্টি বাম করতলে * ডেকে এনে পরিহাস’ রেগোমোগে বলে । ফরাসি পণ্ডিত ছিল, হাস্যোজল মুখে কহিল নোয়ায়ে মাথা, হস্ত রাখি বুকে, ‘স্বপ্ন যাহা শুনিলাম রাজযোগ্য বটে ; হেন স্বপ্ন সকলের আদৃষ্টে না ঘটে । কিন্তু তবু স্বপ্ন ওটা করি অনুমান যদিও রাজার শিরে পেয়েছিল স্থান । অর্থ চাই, রাজকোষে আছে ভূরি ভুরি, রাজস্বপ্নে অর্থ নাই, যত মাথা খুঁড়ি । নাই অর্থ কিন্তু তবু কহি অকপট, শুনিতে কী মিষ্ট আহা, হিং টিং ছট্‌ ৷” স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান, গৌড়ানন্দ কবি। ভনে, শুনে পুণ্যবান । শুনিয়া সভাস্থ সবে করে ধিক ধিক— কোথাকার গণ্ডমূখ পাষণ্ড নাস্তিক ! স্বপ্ন শুধু স্বপ্নমাত্র মস্তিষ্ক-বিকার, এ কথা কেমন করে করিব স্বীকার । জগৎ-বিখ্যাত মোরা ‘ধৰ্মপ্ৰাণ” জাতি স্বপ্ন উড়াইয়া দিবে !— দুপুরে ডাকাতি ! হবুচন্দ্র রাজা কহে পাকালিয়া চোখা — ‘গৰুচন্দ্ৰ, এদের উচিত শিক্ষা হােক । , হেটোয় কণ্টক দাও, উপরে কণ্টক, ভালকুত্তাদের মাঝে করাহ বণ্টক ।” সতেরো মিনিট কাল না হইতে শেষ, হেন চছ পণ্ডিতের আর না মিলে উদেশ । সভাস্থ্য সবাই ভাসে আনন্দাশ্রমনীরে, ধৰ্মরাজ্যে পুনর্বার শান্তি এল ফিরে