পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ت ܝܒܪܺܚ-. 8 SJU (v রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী বিনোদিনী দরোয়ানের হাত দিয়া বিহারার ঠিকানায় চিঠি পাঠাইয়া দিল । আশাকে বিহারী ভালোবাসে, এ কথা যে এমন রূঢ় করিয়া, এমন গৰ্হিতভাবে মহেন্দ্র মুখে উচ্চারণা করিতে পরিবে, তাহা বিহার স্বপ্নেও কল্পনা করে নাই। কারণ, সে নিজেও এমন কথা স্পষ্ট করিয়া কখনো মনে স্থান দেয় নাই । প্রথমটা বজাহত হইল।-- তার পরে ক্ৰোধে ঘূণায় ছটফট করিয়া বলিতে লাগিল, “অন্যায়, অসংগত, অমূলক ।” কিন্তু কথাটা যখন একবার উচ্চারিত হইয়াছে, তখন তাহাকে আর সম্পূৰ্ণ মারিয়া ফেলা যায় না। তাহার মধ্যে যেটুকু সত্যের বীজ ছিল, তাহা দেখিতে দেখিতে অঙ্কুরিত হইয়া উঠিতে লাগিল। কন্যা দেখিবার উপলক্ষে সেই- যে একদিন সূর্যস্তকালে বাগানের উচ্ছসিত পুষ্পগন্ধপ্রবাহে লজ্জিতা বালিকার সুকুমার মুখখানিকে সে নিতান্তই আপনার মনে করিয়া বিগলিত অনুরাগের সহিত একবার চাহিয়া দেখিয়াছিল, তাহাই বার বার মনে পড়িতে লাগিল, এবং বুকের কাছে কী যেন চাপিয়া ধরিতে লাগিল, এবং একটা অত্যন্ত কঠিন বেদনা কণ্ঠের কাছ পর্যন্ত আলোডিত হইয়া উঠিল । দীর্ঘরাত্রি ছাদের উপর শুইয়া শুইয়া, বাড়ির সম্মুখের পথে দ্রুতপদে পায়চারি করিতে করিতে, যাহা এতদিন অব্যক্ত ছিল তাহা বিহারীর মনে ব্যক্ত হইয়া উঠিল। যাহা সংযত ছিল তাহা উদাম হইল ; নিজের কাছেও যাহার কোনো প্রমাণ ছিল না, মহেন্দ্রের বাক্যে তাহা বিরাট প্ৰাণ পাইয়া বিহারীর অন্তর-বাহির ব্যাপ্ত করিয়া দিল । তখন সে নিজেকে অপরাধী বলিয়া বুঝিল । মনে মনে কহিল, ‘আমার তো আর রাগ করা শোভা পায় না, মহেন্দ্রের কাছে তো ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া বিদায় লইতে হইবে । সেদিন এমনভাবে চলিয়া আসিয়াছিলাম, যেন মহেন্দ্ৰ দোষী, আমি বিচারক- সে-অন্যায় স্বাকার করিয়া অ্যাসিব ।” বিহারী জানিত, আশা কাশী চলিয়া গেছে । একদিন সে সন্ধ্যার সময় ধীরে ধারে মহেন্দ্রের দ্বাবের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল। রাজলক্ষ্মীর দূরসম্পর্কের মামা সাধুচরণকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা কবিল, “সাধাদা, কদিন আসিতে পারি নাই- এখানকার সব খবর ভালো ?” সাধুচরণ সকলের কুশল জানাইল। বিহারী জিজ্ঞাসা করিল, “ বোঠান কাশীতে কবে গেলেন।” সাধুচরণ কহিল, “তিনি যান। নাই । তাহার কাশী যাওয়া হইবে না।” শুনিয়া, কিছু না মানিয়া অন্তঃপুরে যাইবার জন; বিহারােৱ মন। ছুটিল। পূর্বে যেমন সহজে যেমন আনন্দে আত্মায়ের মতো সে পরিচিত সিঁড়ি বাহিয়া ভিতরে ফাস্ট ত, সকলের সঙ্গে স্নিগ্ধ কৌতুকের সহিত হাস্যালাপ করি যা আসিত কিছুই মনে হইত না, আজ তাহা অবিহিত, তাহা দুর্লভ, জানিয়াই তাহার চিত্ত যেন উন্মত্ত হইল। আব-একটিবার, কেবল শেষবার, SBLDDB BBBB DBDB BB DDBSSDDB BuBBD BDuBDBBBBB BBBDBDB BB BDBBBB BB BuBBBD DBBB BDBDD BBBDB BB BueBkDB BB DBBDBB uHBB DBBB BBD S DBDBDBB BBB BBB BBB BBB DBuuBDSS BB BBBDBDSHuBBDBS BuDDBBD DDB BBSuBS S BBBS LLLB SBBBBB uSBD S শুনিয়া বিহারী দ্রুতবেগে ভিতরের দিকে কয়েক পদ অগ্রসর হইয়াই ফিরিয়ো সাধুকে কহিল, “যাই একটা কাজ আছে।” বুলিয়া তাড়াতাড়ি প্রস্থান করিল। সেই রাত্রেই বিহারী পশ্চিমে চলিয়া গেল । দরোয়ান বিনোদিনীর চিঠি লইয়া বিহারীকে না পাইয়া চিঠি ফিরাহয়া লইয়া আসিল ! মহেন্দ্র তখন দেউড়িব সম্মুখে ছোটাে বাগানটিতে বেড়াইতেছিল। জিজ্ঞাসা করিল, “এ কাহার চিঠি ।” দরোয়ান সমস্ত বলিল। মহেন্দ্ৰ চিঠিখানি নিজে লইল । একবার সে ভাবিল, চিঠিখানা লইয়া বিনোদিনীর হাতে দিবে।— অপরাধিনী বিনোদিনীর লজ্জিত মুখ একবার সে দেখিয়া আসিবে- কোনো কথা বলিবে না। এই চিঠির মধ্যে বিনোদিনীর লজ্জার কারণ যে আছেই, মহেন্দ্রের মনে তাহাতে কোনো সন্দেহ ছিল না। মনে পডিল, পাবেও আর-একদিন বিহারীর নামে এমনি একখানা চিঠি গিয়াছিল ; চিঠিতে কী লেখা আছে, এ কথা না জানিয়া মহেন্দ্ৰ কিছুতেই স্থির থাকিতে পারিল না। সে মনকে বুঝাইল-- বিনোদিনী তাহার অভিভাবকতায় আছে, বিনোদিনীর ভালোমন্দের জন্য সে দায়ী। অতএব এরূপ সন্দেহজনক পত্র খুলিয়া দেখাই তাহার কর্তব্য । বিনোদিনীকে বিপথে যাইতে দেওয়া কোনোমতেই হইতে পারে না ।