পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতেরা মুখ চক্ষু করিয়া বিকট পুনর্বার উচ্চারিল— ‘হিং টিং ছট্‌ ৷” স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান, গৌড়ানন্দ কবি। ভনে, শুনে পুণ্যবান । অতঃপর গৌড় হতে এল হেন বেলা যােবন পণ্ডিতদের শুরুমারা চেলা । নগ্নশিরা, সজা নাই, লাজা নাই ধডে—— কাছা-বেঁকাচা শতবার খসে খসে পড়ে । অস্তিত্ব আছে না আছে, ক্ষীণ, খর্বদেহ বাক্য যাবে বাহিরায় না থাকে সন্দেহ । এতটুকু যন্ত্র হতে এত শব্দ হয়। দেখিয়া বিশ্বের লাগে বিষম বিস্ময় । না জানে অভিবাদন, না পুছে কুশল, পিতৃনাম শুধাইলে উদ্যত মুষল । সগৰ্ব্বে জিজ্ঞাসা করে, ‘কী, লয়ে বিচার, শুনিলে বলিতে, পারি কথা দুই-চার, ব্যাখ্যায় করিতে পারি উলট-পালট । ” সমস্বরে কহে সবে— ‘হিং টিং ছটু ।” স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান, গৌড়ানন্দ কবি। ভনে, শুনে পণ্যবান । স্বপ্রথকথা শুনি মুখ গভীর করিয়া কহিল গেীউীয় সাধু প্ৰহর ধ্বরিয়া, * নিতান্ত সরল অর্থ, অতি পরিষ্কার, বহু পুরাতন ভাব, নব আবিষ্কার । ত্ৰ্যম্বকের ত্ৰিনয়ন ত্রিকাল ত্ৰিগুণ শক্তিভেদে ব্যক্তিভেদ দ্বিগুণ বিগুণ ! বিবর্তন আবর্তন সস্বর্তন আদি জীবাশক্তি শিবশক্তি করে বিসস্বাদী । আকর্ষণ বিকর্ষণ পুরুষ প্ৰকৃতি আণবি চৌম্বকবলে আকৃতি বিকৃতি । কুশগ্রে প্রবহমান জীবাত্মবিদ্যুৎ ধারণা পরমা শক্তি সেথায় উদ্ভূত । ত্ৰিয়ী শক্তি ত্ৰিীস্বরূপে প্ৰপঞ্চেও প্ৰকটসংক্ষেপে বলিতে গেলে, হিং টিং ছট ।” স্বপ্রীমঙ্গলের কথা অমৃতসমান, গৌড়ানন্দ কবি। ভনে, শুনে পণ্যবান । NRIS