পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই সমুদ্রের তীরে । শীর্ণদেহে জীণচীরে খ্যাপা খুঁজে খুঁজে ফিরে পরশপাথর । এতদিনে বুঝি তার ঘুচে গেছে। আশ । খুঁজে খুঁজে ফিরে তবু বিশ্রাম না জানে কিন্তু, আশা গেছে, যায় নাই খোজার অভ্যাস । বিরহী বিহঙ্গ ডাকে সারা নিশি তরুশাখে, যারে ডাকে তারা দেখা পায় না। অতভাগা । তবু ডাকে সারাদিন আশাইন শ্রান্তিহীন, LLLSBBLBeBDaY B0D JB SLJJJS LJJBLB kDa S আর-সব কাজ শুভূলি আকাশে তরঙ্গ তুলি সমদ্র না জানি কারে চাহে অবিরত । যত করে হয়। হ্রাসায় কোনোকালে নাহি পায়, তবু শশুন্যে তোলে বাহু, ওই তার ব্ৰত । কারে চাহি বোমতলে গ্ৰহতারা লেয়ে চলে, অন্যস্ত সাধনা করে বিশ্বচরাচর । সেইমত সিন্ধুতাটে ধূলিমাখা দীর্ঘজটে খ্যাপা খুঁজে খুঁজে ফিরে পরশপাথর । একদা শুধাল তারে গ্রামবাসী ছেলে, “সন্ন্যাসীঠাকুর, এ কী, বঁকাকালে ও কী ও দেখি, সোনার শিকল তুমি কোথা হতে পেলে ।” সন্ন্যাসী চমকি ওঠে শিকল সোনার বটে, লোহা সে হয়েছে সোনা জানেন না। কখন । একি কাণ্ড চমৎকার, তুলে দেখে বার বার, ভীমাখি কাচালিয়া দেখে এ নহে স্বপন । কপালে হানিয়া করে। বসে পড়ে ভূমি-’পর নিজেরে করিতে চাহে নির্দয় লাঞ্ছনা ; পাগলের মতে চায়- কোথা গেল হায় হয়, ধরা দিয়ে পলাইল সফল বাঞ্ছনা । কেবল অভ্যাসমত নুড়ি কুড়াইত কত, ঠন ক’রে ঠেকাইত শিকলের পর, চেয়ে দেখিত না, নুড়ি দূরে ফেলে দিত জুড়ি, কখন ফেলেছে ছুড়ে পরশপাথর । তখন যেতেছে অস্তে মলিন তপন । আকাশ সোনার বর্ণ সমুদ্র গলিত স্বৰ্ণ, পশ্চিমদিগ্ধধু দেখে সোনার স্বপন । সন্ন্যাসী আবার ধীরে পূর্বপথে যায় ফিরে খুঁজিতে নূতন ক’রে হারানো রতন ।