পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী সে শকতি নাহি আর নুয়ে পড়ে দেহভার অন্তর লুটায় ছিন্ন তরুর মতন। পুরাতন দীর্ঘ পথ । পড়ে আছে মৃত্যুবৎ হেথা হতে কতদূর নাহি তার শেষ । দিক হতে দিগন্তরে মরুবালি ধুধু করে, আসন্ন রজনী-ছায়ে স্নান সর্বদেশ । অর্ধেক জীবন খুঁজি কোন ক্ষণে চক্ষু বুজি সম্পর্শ লভেছিল যার এক পলভার, বাকি অর্ধ ভগ্ন প্ৰাণ আবার করিছে দান ফিরিয়া খুঁজিতে সেই পরশপাথর। শুধু বৈকুণ্ঠের তরে বৈষ্ণবের গান ! পর্বরাগ,অনুরাগ, মান-অভিমান, বৃন্দাবনগাথা— এই প্ৰণয়-স্বপন চারি চক্ষে চেয়ে দেখা কদম্বের মূলে শরমে সম্রামে— এ! কি শুধু দেবতার ! এ সংগীতরসিধারা নহে মিটাবার দীন মর্তবাসী এই নরনারীদের তপ্ত প্ৰেমাতৃষা ? এ গীত-উৎসবমাঝে শুধু তিনি আর ভক্ত নির্জনে বিরাজে ; দাড়ায়ে বাহির-দ্বারে মোরা নরনারী উৎসুক শ্রবণ পাতি শুনি যদি তারি দুয়েকটি তান— দূর হতে তাই শুনে তরুণ বসন্তে যদি নবীন ফাঙ্গুনে অন্তর পুলকি উঠে, শুনি সেই সুর সহসা দেখিতে পাই দ্বিগুণ মধুর আমাদের ধারা— মধুময় হয়ে উঠে আমাদের বনচ্ছায়ে যে-নদীটি ছুটে, মোদের কুটির-প্রান্তে যে-কদম্ব ফুটে বরষার দিনে- সেই প্ৰেমাতুর তানে లిలి