পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী প্ৰতিনিমেষের ভালোবাসাগুলি, ছোটো ছোটো হাসিন্মুখ আপনা-আপনি উঠিছে ফুটিয়া মানবজীবন ঘিরি, বিজন শিখরে বসিয়া সে তাই দেখিতেছে ফিরি ফিরি । দেখে বহুদূরে ছায়াপুরীসম অতীতজীবন-রেখা, অস্তরবির সোনার কিরণে নূতন বরনে লেখা । যাহাদের পানে নয়ন তুলিয়া চাহে নি কখনো ফিরে, নবীন আভায় দেখা দেয় তারা স্মৃতি-সাগরের তীরে। পূরবী রাগিণী বাজে, দু। বাহু বাড়ায়ে ফিরে যেতে চায় ওই জীবনের মাঝে । দিনের আলোক মিলায়ে আসিল তবু পিছে চেয়ে রহে— যাহা পেয়েছিল তাই পেতে চায়, তার বেশি কিছু নহে। কোথা সে চলিল ভেসে । শশীর লাগিয়া বঁকাদিতে গেল কি রবিশশীহীন দেশে । বোট । যমুনায় বিরাহিমপুরের পথে ২, ২ আষাঢ় ১২৯৯ দুয়ারে প্রস্তুত গাড়ি ; বেলা দ্বিপ্রহরা ; হেমস্তের রৌদ্র ক্রমে হতেছে প্রখর । জনশূন্য পল্লিপথে ধূলি উড়ে যায় মধ্যাহ্ন-বাতাসে ; স্নিগ্ধ অশাথের ছায় ক্লান্ত বৃদ্ধ ভিখারিনী জীৰ্ণ বস্ত্ৰ পাতি বঁটা বঁটা করে চারি দিকে নিস্তব্ধ নিঃকুম— শুধু মোর ঘরে নাহি বিশ্রামের ঘুম। VSDT)