পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী 8 S দেখে নাই তারে ; এত বেলা হয়ে যায় নাই সুসানাহার । এতক্ষণ ছায়াপ্ৰায় ফিরিতেছিল। সে মোর কাছে কাছে ঘেঁষে, চাহিয়া দেখিতেছিল। মৌন নিনিমেষে। বিদায়ের আয়োজন । শ্রাস্তদেহে এবে বাহিরের দ্বারপ্রাস্তে কী জানি কী ভেবে চুপিচাপি বসে ছিল। কহিনু যখন “মাগো, আসি” সে কহিল বিষন্ন-নিয়ন স্নান মুখে, “ যেতে আমি দিব না তোমায় ।” যেখানে আছিল বসে রহিল সেথায়, ধরিল না বাহু মোর, রুধিল না দ্বার, শুধু নিজ হৃদয়ের স্নেহ-অধিকার প্ৰচারিল-“ যেতে আমি দিব না তোমায়” । তবুও সময় হল শেষ, তবু হায় যেতে দিতে হল । ওরে মোর মূঢ় মেয়ে, কে রে তুই, কোথা হতে কী শকতি পেয়ে কহিলি এমন কথা, এত স্পধাভরে* যেতে আমি দিব না তোমায়” ? চরাচরে গরবিনী, সংগ্রাম করিবি কার সাথে বসি গৃহদ্বারপ্রান্তে শ্রান্ত-ক্ষুদ্র-দেহ শুধু লয়ে ওইটুকু বুকভরা স্নেহ । ব্যথিত হৃদয় হতে বহু ভয়ে লাজে মর্মের প্রার্থনা শুধু ব্যক্ত করা সাজে এ জগতে, শুধু বলে রাখা * যেতে দিতে ইচছা নাহি । হেন কথা কে পারে বলিতে * যেতে নাহি দিব’ ! শুনি তোর শিশু মুখে স্নেহের প্রবল গর্ববাণী, সকৌতুকে হাসিয়া সংসার টেনে নিয়ে গেল মোরে, তুই শুধু পরাভূত চোখে জল ভ’রে মি দেখে চলে এনু মুছিয়া নয়ন । চলিতে চলিতে পথে হেরি দুই ধারে *ISSIONSD5 oso CFK NVS5 asɔJVSOS রৌদ্র পোহাইছে । তরুশ্রেণী উদাসীন রাজপথপাশে, চেয়ে আছে। সারাদিন