পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তীবী অন্ধকার পূর্ণ করি আসিবে তরঙ্গধবনি অজ্ঞাত কুলেরওগো মৃত্যু, সেই লগ্নে নির্জন শয়নপ্রান্তে এসো করবেশে । আমার পরানবন্ধু ক্লান্ত হস্ত প্রসারিয়া বহু ভালোবেসে ধরিবে তোমার বাহু ; তখন তাহারে তুমি মন্ত্র পন্ডি নিয়ো, রক্তিম অধর তার নিবিড় চুম্বনদানে পাণ্ডু করি দিয়ো । মপুর বোয়ালিয়’ নাটাের শিলাইদহ SVs-So-S - 3.22 S S is S. মানসসুন্দরী আজ কোনো কাজ নয়।---সব ফেলে দিয়ে ছন্দোবন্ধ-গ্রন্থগীত – এসো তুমি প্ৰিয়ে, আজন্ম-সাধন-ধন সুন্দরা আমার কবিতা, কল্পনালিতা ; শুধু একবার কাছে বসো ; আজ শুধু কৃজন গুঞ্জন তোমাতে আমাতে ; শুধু নীরবে ভুঞ্জন এই সন্ধা-কিরণের সুবৰ্ণ মন্দিরাযতক্ষণ অস্তরের শিরা-উপশিরা লাবণ্যপ্ৰবাহভরে ভরি নাহি উঠে, যতক্ষণে মহানন্দে নাহি যায় টুটে চেতনাবেদনাৱন্ধ, ভুলে যাই সবকী। আশা মেটে নি প্ৰাণে, কী সংগীতরব গিয়েছে। নীরব হয়ে কী আনন্দসুধা অধরের প্রান্তে এসে অস্তরের ক্ষুধা না মিটায়ে গিয়াছে শুকায়ে । এই শান্তি, এই মধুরতা, দিক সৌম্য স্নান কাস্তি জীবনের দুঃখদৈন্য-অতৃপ্তির পর করুণকোমল আভা গভীর সুন্দর । বীণা ফেলে দিয়ে এসো, মানসসুন্দরীদুটি রিক্ত হস্ত শুধু আলিঙ্গনে ভরি কণ্ঠে জড়াইয়া দাও— মৃণাল-পরিশে। রোমাঞ্চ অকুরি উঠে মর্মান্ত হরষে, কম্পিত চঞ্চল বক্ষ, চক্ষু ছলছল, মুগ্ধ তনু মারি যায়, অস্তর কেবল