পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৯

GłR ब्रोड्-ड्राप्>न्मावळेी অঙ্গের সীমান্তপ্ৰান্তে উদ্ভাসিয়া উঠে, এখনি ইন্দ্ৰিয়বন্ধ বুঝি টুটে টুটে । অর্ধেক অঞ্চল পাতি বসাও যতনে পার্থে তব ; সুমধুর প্ৰিয়সম্বোধনে ভাকো মোরে, বিলো, প্ৰিয়, বলো, প্ৰিয়তমকুম্ভল—আকুল মুখ বক্ষে রাখি মম। হৃদয়ের কানে কানে অতি মৃদু ভাষে সংগোপনে বলে যাও যাহা মুখে আসে অর্থহারা ভাবে-ভরা ভাষা । অয়ি প্ৰিয়া, চুম্বন মাগিব যবে, ঈষৎ হাসিয়া বাকায়ো না গ্ৰীবাখানি, ফিরায়ো না মুখ, উজ্জ্বল রক্তিমবৰ্ণ সুধাপূৰ্ণ সুখ রেখো ওষ্ঠাধরপুটে, ভক্তভূঙ্গ-তরে সম্পূৰ্ণ চুম্বন এক, হাসি স্তরে স্তরে সরস সুন্দর ; নবস্ফুট পুস্পসম হেলায়ে বঙ্কিম গ্ৰীবা বৃন্ত নিরুপম মুখখানি তুলে ধোরো ; আনন্দ-আভায় বড়ো বড়ো দুটি চক্ষু পল্লব-প্রচ্ছায় রেখো মোর মুখপানে প্ৰশান্ত বিশ্বাসে, নিতান্ত নির্ভারে । যদি চোখে জল আসে। বঁকা দিব দুজনে ; যদি ললিত কপোলে মৃদু হাসি ভাসি উঠে, বসি মোর কোলে, বক্ষ বাধি বাহুপাশে, স্কন্ধে মুখ রাখি হাসিয়ো নীরবে অর্ধ-নিমীলিত আঁখি । যদি কথা পড়ে মনে তবে কলস্বরে বলে যেয়ো কথা, তরল আনন্দভরে কত-না কাহিনী স্মৃতি কল্পনালিহরীমধুমাখা কণ্ঠের কাকলি । যদি ভালো লাগে, গোয়ো গান। যদি মুগ্ধপ্ৰাণ নিঃশব্দ নিস্তব্ধ শান্ত সম্মুখে চাহিয়া বসিয়া থাকিতে চাও, তাই রব প্ৰিয়া । শ্রান্ত রূপসীর মতো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রসারিয়া তনুখানি, সায়াহ্ন-আলোকে শুয়ে আছে ; অন্ধকার নেমে আসে চোখে সন্তপণে করে পদাপািণ, নদীতীরে অরণ্য-শিয়ারে ; যামিনী শয়ন তার দেয় বিছাইয়া, একখানি অন্ধকার অনন্ত ভুবনে। দোহে মোরা রব চাহি