পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tr S \ጋ রবীন্দ্র-রচনাবলী তব প্ৰেম ; রেখেছে। যেমন সুধাকর দেবতার গুপ্ত সুধা যুগ-যুগান্তর আপনারে সুধাপাত্ৰ করি ; বিধাতার পুণ্য অগ্নি জ্বালায়ে রেখেছে। অনিবার সবিতা যেমন সযতনে ; কমলার চরণকিরণে যথা পরিয়াছে হার সুনির্মল গগনের অনন্ত ললাট । হে মহিমাময়ী, মোরে করেছি। সম্রাট ! কী দেখিছ মুখে মোর পরমবিস্মিত, ডাগর নয়ন মেলি ? হে আত্মবিস্মৃত, আপনারে নাহি জান তুমি, মোর কথা নারিবে বুঝিতে । বড়ো পেয়েছিনু ব্যথা আজি, বড়ো বেজেছিল অপমান, যাবে আপোগণ্ড সাহেবশাবক রূঢ়ারবে করিল লাঞ্ছনা । হায় এ কী প্রহসন এ সংসার ! ক্ষুদ্র ব্যক্তি বড়ো সিংহাসন কার পরিহাসবিশে করে অধিকার— কোন অভিনয়চ্ছলে নিখিল সংসার বড়ো বলি মান্য করে তারে ! মিথ্যা আজ এক হয়ে নত ক’রে রাখিবে আমারে তার কাছে, গণ্য আমি নাহি করি যারে সমকক্ষ, একাকী যে যোগ্য নহে মোর ! জেনো, প্ৰিয়ে, বাহিরের প্রকাণ্ড কঠোর ংসার এমনি ধারা অদ্ভুত-আকার— কে যে কোথা পিডিয়াছে স্থির নাহি তার, অস্থানে অকালে ! আর্তনাদে অট্টহাস্যে চলেছে উৎকট যন্ত্র অন্ধ উধৰ্বশ্বাসে দয়ামায়াশোভাহীন ; বিরূপ ভঙ্গিতে সর্বাঙ্গ নড়িছে তার— সৌন্দর্যসংগীতে কে চালাবে তারে ! সেথা হতে ফিরে এসে স্মিতহাস্যসুধাসিন্ধ তব পুণ্যদেশে, কল্যাণকামনা যেথা নিয়ত বিরাজে । লক্ষ্মীরূপে, সেই তব ক্ষুদ্র গৃহমাঝে যত দৈন্য থাক মোর, দীন নহি তবু । বর্তমানে যেখানে কবিতাটি আরম্ভ হইয়াছে, উদধূত অংশটি তাহার পূর্বেই সন্নিবিষ্ট ছিল । উদধূত অংশের ‘সেন্থা আমি- হয়েছে আমার !” ও “দুর্লভ পরশখানি- মোরে করেছ সম্রাট !” ছত্রগুলি বর্তমান পাঠের শেষ ২৬ ছত্ৰে, স্থানে স্থানে পরিবর্তিত ও পরিবর্জিত আকারে মুদ্রিত আছে । বর্তমান পাঠের উনবিংশ ছত্রের পর (‘উৎকণ্ঠিত তান’ –এর পর) সাধনায় ছিল—