পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵrՀ8 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী যদি এমন হয় যে, আমার বর্তমান জীবনের মধ্যে এই জীবনদেবতার সেবার সম্ভাবনা যতদূর ছিল তাহা নিঃশেষ হইয়া গিয়া থাকে, যে আগুন তিনি জ্বালাইয়া রাখিতে চান আমার বর্তমান জীবনের ইন্ধন যদি ছাই হইয়া গিয়া আর তাহা রক্ষা করিতে না পারে, তবে এ আগুন তিনি কি নিবিতে দিবেন ? এ অনাবশ্যক ছাই ফেলিয়া দিতে কতক্ষণ ? কিন্তু তাই বলিয়া এই জ্যোতিঃশিখা মরিবে কেন ? দেখা তো গিয়াছে, ইহা অবহেলার সামগ্ৰী নহে । অস্তরে অন্তরে তো বুঝা গিয়াছে, ইহার উপরে অনিমেষ আনন্দের দৃষ্টির অবসান নাই ! এখন কি শেষ হয়েছে, প্ৰাণেশ, যা-কিছু আছিল মোর— যত শোভা যত গান যত প্ৰাণ, জাগরণ, ঘুমঘোর ? শিথিল হয়েছে বাহুবন্ধন, মন্দিরাবিহীন মম চুম্বন--- জীবনকুঞ্জে অভিসারনিশা আজি কি হয়েছে ভোর ! ভেঙে দাও। তবে আজিকার সভা, আনো নব রূপ, আনো নব শোভা, নুতন করিয়া লাহাে আরবার চিরপুরাতন মোরে । নূতন বিবাহে বাধিবে আমায় নবীন জীবনডোরে । নিজের জীবনের মধ্যে এই-যে আবির্ভাবকে অনুভব করা গেছে-- যে আবির্ভাব অতীতের মধ্য হইতে অনাগতের মধ্যে প্রাণের পালের উপরে প্রেমের হাওয়া লাগাইয়া আমাকে কালমৃত্নানদীর নূতন নূতন ঘটে বহন করিয়া লইয়া চলিয়াছেন, সেই জীবনদেবতার কথা אירי, Two Y* ** কােজ ল’ম ৷ --আত্মপরিচয় “চিত্রা সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য ‘চিত্ৰা” গ্রন্থের স্বতন্ত্র সংস্করণে দ্রষ্টব্য । চিত্রাঙ্গদা। চিত্রাঙ্গদা। ১২৯৯ সালের ২৮ ভাদ্র তারিখে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত । এই কাহিনীটি পরবর্তীকালে কবি নৃত্যনাট্যে রূপান্তরিত করেন ; তাহা ‘নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা” নামে (১৩৪৩) স্বরলিপিসহ প্রচারিত |