পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক খর মধ্যাহের তাপে ছুটিতে হল জয়পরাজয়ের আবর্তনের মধ্যে । পায়ে বিধেছে কাটা, ক্ষত বক্ষে পড়েছে রক্তধারা । নির্মম কঠোরতা মেরেছে ঢেউ আমার নৌকার ডাইনে বায়েজীবনের পণ্য চেয়েছে ডুবিয়ে দিতে নিন্দার তলায়, পঙ্কের মধ্যে । বিদ্বেযে অনুরাগে ঈর্ষায় মৈত্রীতে, ংগীতে পারুষ কোলাহলে আলোড়িত তপ্ত বাস্পনিশ্বাসের মধ্য দিয়ে আমার জগৎ গিয়েছে তার কক্ষপথে । এই দুৰ্গমে, এই বিরোধ-সংক্ষোভের মধ্যে পঁচিশে বৈশাখের প্রৌঢ় প্রহরে তোমরা এসেছি আমার কাছে । জেনেছ কি আমার প্রকাশে অনেক আছে অসমাপ্ত, অনেক ছিন্নবিচ্ছিন্ন, অনেক উপেক্ষিত ? সেই ভালো মন্দ, স্পষ্ট অস্পষ্ট, খ্যাত অখ্যাত, . ব্যর্থ চরিতার্থের জটিল সম্মিশ্রণের মধ্য থেকে যে আমার মূতি 0ऊ न् আজ প্ৰতিফলিতআজ যার সমানে এনেছ তোমাদের মালা, তাকেই আমার পঁচিশে বৈশাখের শেষবেলাকার পরিচয় বলে নিলেম স্বীকার করে, আর রেখে গেলেম তোমাদের জন্যে আমার আশীৰ্বাদ । যাবার সময় এই মানসী মূর্তি রইল তোমাদের চিত্তে, কালের হাতে রইল বলে করব না। অহংকার । So