পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সপ্তক যাকে ছেড়ে এলেম তাকেই নিচ্ছি। চিনে । সরে এসে দেখছি আমার এতকালের সুখদুঃখের ওই সংসার, আর তার সঙ্গে সংসারকে পেরিয়ে কোন নিরুদ্দিষ্ট । ঋষিকবি প্ৰাণপুরুষকে বলেছেন “ভুবন সৃষ্টি করেছ। তোমার এক অর্ধেককে দিয়ে, বাকি আধখানা কোথায় ୯୬୩ (୫ ଅପ୍ରେଲ ।' সেই একটি-আধখানা আমার মধ্যে আজ ঠেকেছে৷ আপন প্ৰান্তরেখায় ; দুইদিকে প্রসারিত দেখি দুই বিপুল নিঃশব্দ, দুই বিরাট আধখানা শেষকথা বলে যাব “দুঃখ পেয়েছি অনেক, কিন্তু ভালো লেগেছে, ভালোবেসেছি ।” তখন আমার বয়স ছিল সাত । ভোরের বেলায় দেখতেম জানলা দিয়ে অন্ধকারের উপরকার ঢাকা খুলে আসছে, বেরিয়ে আসছে। কোমল আলো নতুন-ফোটা কাটালিচাপার মতো । বিছানা ছেড়ে চলে যেতেম বাগানে কাক ডাকবার আগে, পাছে বঞ্চিত হই কম্পমান নারকেল-শাখাগুলির মধ্যে তখন প্রতিদিনটি ছিল স্বতন্ত্র, ছিল নতুন । যে প্ৰভাত পূর্বদিকের সোনার ঘাট থেকে আলোতে সুদান করে আসতে | Nà Nà Sà