পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮ আষাঢ় ১৩৪১ সংযোজন এমন সময় অকস্মাৎ মনের মধ্যে হানল চমক তড়িদঘাত, এক নিমেষেই ভাঙল আমার বন্ধ দ্বার, ঘুচল হঠাৎ অন্ধকার । সুদূরকালের দিগন্তলীন বাগবাদিনীর পেলেম সাড়া, শিরায় শিরায় লাগল নাড়া । যুগান্তরের ভগ্নশেষে ভিত্তিছায়ায় ছায়ামূর্তি মুক্তকেশে বাজায় বীণা ; পূর্বকালের কী আখ্যানে উদার সুরের তানের তন্তু গাথছে গানে ; ; দুঃসহ কোন দারুণ দুখের স্মরণ-গাথা করুণ গাথা ; দুৰ্দাম কোন সর্বনাশের ঝঙ্কাঘাতের মৃত্যুমাতাল বজ্ৰপাতের গর্জারবে রক্ত রঙিন যে-উৎসবে রুদ্রদেবের ঘূর্ণিনৃত্যে উঠল মাতি প্রলয়রাতি, তাহারি ঘোর শঙ্কার্কাপন বারে বারে ঝংকারিয়া কঁপিছে বীণার তারে তারে । জানিয়ে দিলে আমায়, অয়ি আজকে দিনের সকল লজ্জা সকল গ্লানি পাবে যখন তোমার বাণী, বর্ষশতের ভাসান-খেলার নীেকা যাবে। অদৃশ্যেতে মগ্ন হবে, মৰ্মদহন দুঃখশিখা হবে তখন জ্বলনবিহীন আখ্যায়িকা, বাজবে তারা অসীম কালের নীরব গীতে শান্ত গভীর মাধুরীতে ; ব্যথার ক্ষত মিলিয়ে যাবে নবীন ঘাসে, মিলিয়ে যাবে সুদূর যুগের শিশুর উচ্চহাসে । দশ-সংখ্যক কবিতা তুলনীয়। SSS