পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শোধবোধ Σ 8 Σ চারুর প্রবেশ DDSSSS DD DBBS BD S DB DD BBYS নলিনী । যে-মাটির গর্ভে হীরে থাকে, যে-মাটির বুকে ভুঁইচাপা ফুল ফোটে, সেই মাটির হাতে ওকে সমৰ্পণ করে দিয়েছি। এর চেয়ে আর কত সম্মান হবে ? চারু । ছিছি, নেলি, মিস্টার নদী জানতে পারলে কী মনে করবেন। এ যে একেবারে ছিড়ে ফেলেছিস । নলিনী । ইচ্ছে করিস, তো তোর ঘরের আটা দিয়ে তুই জোড়া দিয়ে নিতে পারিস। দ্বিতীয় দৃশ্য বিধুমুখী ও সতীশ সতীশ । মা, কোনোমতে টাকাটা পেয়েছি, নেকলেসও নেলির ওখানে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিন্তু বাবার সেকালের আমলের সোনার গুড়গুড়িটা সিঁদুরেপটির মতি পালদের ওখানে যে বাধা রেখে এলুম, নিশ্চিন্তি হতে পারছি নে । বিধুমুখী । তোর কোনাে ভয় নেই, সতীশ । তিনি এসব জিনিসের পরে কোনাে মমতাই রাখেন না। কেবল ওঁর ঠাকুরদাদার জিনিস বলেই আজ পর্যন্ত লোহার সিন্দুকে ছিল। একদিনের জন্যে খবরও রাখেন নি। সেটা আছে কি গেছে, সে তঁর মনেও নেই। সতীশ । সে আমি জানি । কিন্তু ভারি ভয় হচ্ছে, যারা বন্ধক রেখেছে তারা হয়তো বাবাকে চিঠি লিখে খোজ করবে। তুমি কোনােমতে তোমার গহনাপত্র দিয়ে সেটা খালাস করে দাও । । বিধুমুখী। হায় রে কপাল, গহনাপত্র কিছু কি বাকি আছে। সে কথা আর জিজ্ঞাসা করিস নে। যাই হােক, আমি ভয় করি নে— প্রজাপতির আশীর্বাদে নলিনীর সঙ্গে আগে তোর কোনোমতে বিয়ে হয়ে যাক, তার পরে তোর বাবা যা বলেন, যা করেন, সব সহ্য হবে। কথাবার্তা কিছু এগিয়েছে ? সতীশ। সর্বদা যে-রকম লোক ঘিরে থাকে, কথা কব কখন। জান তো সেই নদী- সে যেন বিলিতি কাঁটাগাছের বেড়া। তার বুলিগুলো সর্বাঙ্গে বিধতে থাকে। সেই দৈত্যটার হাত থেকে রাজকন্যার উদ্ধার করি কী উপায়ে । বিধুমুখী। আমি মেয়েমানুষ, মেয়ের মন বুঝতে পারি।-- মনে মনে সে তোকে ভালোবাসে। সতীশ । সে আমি জানি নে। কিন্তু বরুণ নদীর সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে প্রাণ বেরিয়ে গেল। বাবা একটু लशों कललई (कना उावना छिल नां । किgবিধুমুখী। তোর কী চাই বল না। ’ সতীশ । ভালো বিলিতি সুট । চাদনির কাপড় পরলেই ভরসা কমে যায় ; নদীর মতো করে সজোরে নলিনীর সঙ্গে কথাই কইতে পারি নে। বাড়িসুদ্ধ সব্বাই আমার দিকে এমন করে তাকায় যেন আমার গায়ে কাপড়ই নেই, আছে নৰ্দমার পাক । বিধুমুখী। আমি তোর কাপড়ের দুর্দশা তোর মাসিকে আভাসে জানিয়ে রেখেছি। আজ এখনই তার আসবার কথা । আজই হয়তো একটা কিনারা হয়ে যাবে। সতীশ । ঐ যে মেসোেমশায়কে নিয়েই তিনি আসছেন মা, যেমন করে পর আজই যেন- কিন্তু মা, সেই গুড়গুড়ি- বাবা যদি জানতে পারেন, মেরে ফেলবেন। বিধুমুখী। আমি বলি কী— কােনাে ছুতােয় সেই নেকলেসটা যদি নলিনীর কাছ থেকে biSo