পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬০

SGS রবীন্দ্র-রচনাবলী ननी । rt, she wanted to be excused চারু । ওঃ, বোধ হয় সতীশের সঙ্গে কথা আছে। আমি তো বুঝতে পারি। নে সতীশের মধ্যে নলিনী কী-যে দেখেছে ! নদী। দেখেছে ওর মনুমেন্টাল অ্যাবসার্ডিট, আর তার চেয়ে অ্যাবসার্ড ওর— থাক, সে-কথা থাক । চারু । কিন্তু ওর মতো অতবড়ো অযোগ্য লোককেনদী। অযোগ্যতা হচ্ছে শূন্যপেয়ালা, কৃপা দিয়ে ভরা সহজ। চারু । শুধু কেবল কৃপা ! ছিঃ ! শ্ৰদ্ধা কি তার চেয়েও বড়ো নয়। চলুন খেলতে। কিন্তু আপনি তো জানেন, আমি ভারি বিশ্ৰী খেলি । 母 নদী। খেলায় আপনি হারিতে পারেন, কিন্তু বিশ্ৰী খেলতে কিছুতেই পারেন না। চারু। থ্যাঙ্কস। . - [উভয়ের প্রস্থান নলিনীর প্রবেশ । নলিনী। কী সতীশ, এখনো যে তোমার মনের খেদ মিটাল না। টেনিসকোর্তার শোকে তোমার হৃদয়টা যে বিদীর্ণ হয়ে গেল। হায় হায়, কোর্তাহারা অভাগা হৃদয়ের সান্তুনা জগতে কোথায় আছে— দরজির বাড়ি RV ! সতীশ । আমার হৃদয়টার ঠিকানা যদি জানতে, তা হলে খুব বেশি দূরে তাকে খুঁজে বেড়াতে হত না । নলিনী । (করতালি দিয়া) ব্রাভো! মিস্টার নদীর দৃষ্টান্তে মিষ্ট কথার আমদানি শুরু হয়েছে। উন্নতি হবে ভরসা হচ্ছে। এসো একটু কেক খেয়ে যাবে ; মিষ্ট কথার পুরস্কার মিষ্টান্ন। সতীশ । না, আজ আর খাব না, আমার শরীরটানলিনী। সতীশ, আমার কথা শোনাে- টেনিসকোর্তার খেদে শরীর নষ্ট কোরো না। কোর্তা জিনিসটা জগতের মধ্যে সেরা জিনিস, কিন্তু এই তুচ্ছ শরীরটা না হলে সেটা বুলিয়ে বেড়াবার সুবিধা হয় না। সতীশ । নেলি, আজ তোমাকে একটা খুব বিশেষ কথা বলতে এসেছি— নলিনী । না না, বিশেষ কথার চেয়ে সাধারণ কথা আমি ভালোবাসি । সতীশ । যেমন করে হােক বলতেই হবে, নইলে বঁচিব না, তার পরে যদি বিদায় করে দাও। তবে মাথা ঠোঁট করে জন্মের মতোই নলিনী । সর্বনাশ ! সহজে বলবার কথা পৃথিবীতে এত আছে যে, চমক-লাগানো কথা না বললেও সময় কেটে যায়। আমারও বলবার কথা একটা আছে, তার পরে যদি সময় থাকে তুমি বােলো । সতীশ । আচ্ছা, তাই আগে বলে নাও, কিন্তু আমার কথা শুনতেই হবে। নলিনী । বলবার জন্যেই তোমাকে ডেকেছি, বলে নিই ; রাগ কোরো না । সতীশ । তুমি ডেকেছ বলে রাগ করব, আমি এত বড়ো স্যাভেজ ? নলিনী। সকল সময়েই নদী সাহেবের চেলাগিরি কোরো না। বলে দেখি, আমার জন্মদিনে তুমি আমাকে আমন দামি জিনিস কেন দিলে। সেই তোমার নেকলেস ? সতীশ । নেকলেস ? সেটা কি তবে— নলিনী । ভুল বুঝে না- জিনিসটা খুব ভালো। কিন্তু তুমি যে ঐটে কেনবার জন্যেসতীশ । নেলি, চুপচুপ, তোমার মুখে আমি সে-কথা শুনতে পারব না। কে তােমাকে কী বলেছে, সব মিথ্যে কথা, মিথ্যে কথাఇ? । হঠাৎ অমন খেপে উঠলে কেন। কী মিথ্যে কথা ? নেকলেসটা তুমিই আমাকে দিয়েছ, সেও কি থ্য কথা । সতীশ । না, না । হী, তা হতেও পারে, এক রকম করে দেখলে হয়তোনলিনী। নেকলেস এক রকম করে ছাড়া আর কীরকম করে দেখা যায় ? কথা উঠতে না উঠতেই আগে थाकाउट्रै ठूभि प्रशन्- n