পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S68 রবীন্দ্র-রচনাবলী করো নেলি, দয়া করে- যদি আমাকে ফিরিয়ে নিতে হয়, তবে ওটা গলায় ফাস লাগিয়ে দম বন্ধ করে আমার পক্ষে মারা ভালো । नलिनी।। (गना छूधि (भोक्ष कद्राव दी। कद्ध। সতীশ । মার কাছ থেকে টাকা পাব। নলিনী । ছিছি, তিনি মনে করবেন, আমার জন্যই তার ছেলের দেনা হচ্ছে। সতীশ, তোমার এই নেকলেসটা হাতে করে নেওয়ার চেয়ে ঢের বেশি করে নিয়েছি, এই কথাটা তোমাকে বুঝে দেখতে হবে। নইলে কখনোই তোমাকে ফিরিয়ে দিতে পারতুম না। দিলে অপমান করা হত। বুঝতে পারছি ? সতীশ। সম্পূর্ণ না। নলিনী | তোমার দান-কারাকেই আমি বেশি মান দিয়েছি বলেই তোমার দানের জিনিসকে অনায়াসে ত্যাগ করতে পারি। মনে করো না, এটা হারিয়ে গেছে; সেই হারানোতে তোমার দানতো একটুও হারায়না। সতীশ । ঠিক বলছি, নেলি ? নলিনী । ঠিক বলছি। আমি যেমন সহজে এটি তোমার হাতে ফিরিয়ে দিচ্ছি, তেমনি সহজে তুমি এটি आभाल शऊँ (थक गिद्ध ना७ । उा शल अभि उानेि शूनि श्ल। সতীশ। খুশি হবে ? তবে দাও। (নেকলেস লইয়া) কিন্তু যে-হাত দিয়ে তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিলে, সেই হাতেই তুমি আর একজনের ব্রেসলেট পরেছ, সে যেন আমাকে নলিনী | ওতে কন্যার হাত নেই সতীশ, আছে কন্যাকর্তার হাত । বাবা বিশেষ করে বলেছিলেন, আজ-- সতীশ । আচ্ছ, ঐ ব্রেসলেট চিরদিনই তোমার হাতে থােক- এই নেকলেস কেবল কিছুক্ষণের জন্যে গলায় পরো, তার পরে আমি নিয়ে যাব। নলিনী | পরলে বাবা রাগ করবেন। সতীশ । কেন । নলিনী। তা হলে এই ব্রেসলেট পরার দাম কমে যাবে- ফের মুখ গভীর করছ ? সতীশ । কথাটা কি খুব প্রফুল্প হবার মতো। নলিনী। নয় তো কী। তোমার কাছে যে আমি এত খুলে কথা বলি, তার কোনো দাম নেই ? অকৃতজ্ঞ ! মিস্টার নদীর সঙ্গে আমি এমন করে কইতে পারতুম ? এবার কিন্তু টেনিসকোর্ট থেকে যাও। সতীশ । কেন যেতে বলছি, নেলি । এখানে আমাকে মানায় না ? नलिी । ना, भानाश ना । সতীশ । চাদনির কাপড় পরি বলে ? নলিনী । সে একটা কারণ বৈকি। সতীশ । তুমি আমাকে এমন কথা বললে ? নলিনী । আমি যদি তোমাকে সত্যি কথা বলি, খুশি হয়ে, অন্যে বললে রাগ করতে পাের। সতীশ । তুমি আমাকে অযোগ্য বলে জািন, এতে আমি খুশি হব ? নলিনী। এই টেনিসকোর্টের অযোগ্যতাকে তুমি অযোগ্যতা বলে লজ্জা পাও ? এতেই আমি সব চেয়ে লজা বোধ করি। তুমি তো তুমি, এখানে স্বয়ং বুদ্ধদেব এসে যদি দাঁড়াতেন, আমি দুই হাত জোড় করে পায়ের ধুলো নিয়েই তাকে বলতুম, ভগবান, লাহিড়িদের বাড়ির এই টেনিসকোর্ট আপনাকে মানায় না, মিস্টার নদীকে তার চেয়ে বেশি মানায়। শুনে কি তখনই তিনি হার্মানের বাড়ি ছুটতেন টেনিসসুট অর্ডার দিতে । সতীশ । বুদ্ধদেবের সঙ্গেনলিনী। তোমার তুলনই হয় না, তা জানি। আমি বলতে চাই, টেনিসকোর্টের বাইরেও একটা মস্ত জগৎ আছে- সেখানে চাঁদনির কাপড় পরেও মনুষ্যত্ব ঢাকা পড়ে না। এই কাপড় পরে যদি এখনই ইন্দ্রলোকে যাও তো উর্বশী হয়তো একটা পারিজাতের কুঁড়ি ওর বাট্রনহােলে পরিয়ে দিতে কুষ্ঠিত হবে না- অবিশ্যি তোমাকে যদি তার পছন্দ হয়।