পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শোধবােধ SoS সতীশ । আচ্ছা দেখাব, আগে লেখাটা শেষ করি। হরেন। তবে আমিও লিখি। (স্লেট লইয়া চীৎকারস্বরে) ভয়ে আকার ভাসতীশ। চুপ চুপ, অত চীৎকার করিস নে - আঃ থাম থাম।। হরেন। তবে আমাকে তোড়াটা দাও । । সতীশ । আচ্ছা নে, খবরদার ছিড়িসী নে।— ও কী করল। যা বারণ করলেম তাই, ফুলটা ছিড়ে ফেলল। এমন বদ ছেলেও তো দেখি নি। (তোড়া কড়িয়া লইয়া চপেটাঘাত করিয়া) লক্ষ্মীছাড়া कथाकाद्भ ! शी @थांना (शंक- शी दळशिं ! या ! [হরেনের চীৎকারস্বরে ক্ৰন্দন ও সতীশের সবেগে প্রস্থান বিধুমুখীর ব্যস্ত হইয়া প্রবেশ বিধুমুখী। সতীশ বুঝি হরেনকে কঁদিয়েছে, দিদি টের পেলে সর্বনাশ হবে। হরেন, বাপ আমার, কঁদিস নে, লক্ষ্মী আমার, সোনা আমার । হরেন। (সরোদনে) দাদা আমাকে মেরেছে। বিধুমুখী । আচ্ছা, চুপ কর, চুপ কর, আমি দাদাকে খুব করে মারব এখন। হরেন। দাদা ফুলের তোড়া কেড়ে নিয়ে গেল । বিধুমুখী। আচ্ছা, সে আমি তার কাছ থেকে নিয়ে আসছি।— [হরেনের ক্ৰন্দন] এমন ছিচৰ্কাদুনে ছেলেও তো আমি কখনো দেখি নি। দিদি আদর দিয়ে ছেলেটির মাথা খাচ্ছেন । যখন যেটি চায় তখন সেটি তাকে দিতে হবে । দেখো না, একেবারে নবাবপুত্ৰ ! ছিছি, নিজের ছেলেকে কি এমনি করেই মাটি করতে হয়। (সতর্জনে) খোকা, চুপ কর বলছি, ঐ হামদেবুড়ো আসছে। সুকুমারীর প্রবেশ সুকুমারী। বিধু, ও কী ও ! আমার ছেলেকে কি এমনি করেই ভূতের ভয় দেখাতে হয়। আমি চাকর-বাকরদের বারণ করে দিয়েছি, কেউ ওর কাছে ভূতের কথা বলতে সাহস করে না।-আর, তুমি বুঝি মসি হয়ে ওর এই উপকার করতে বসেছি। কেন বিধু, আমার বাছা তোমার কী অপরাধ করেছে। ওকে তুমি দুটি চক্ষে দেখতে পার না, তা আমি বেশ বুঝেছি। আমি বরাবর তোমার ছেলেকে পেটের ছেলের মতো মানুষ করলেম আর তুমি বুঝি আজ তারই শোধ নিতে এসেছ। বিধুমুখী । (সরোদনে) দিদি, এমন কথা বােলো না। আমার কাছে সতীশ আর তোমার হারেনে প্ৰভেদ কী আছে । , হরেন। মা, দাদা আমাকে মেরেছে। বিধুমুখী। ছি ছি খোকা, মিথ্যা বলতে নেই। দাদা তোর এখানে ছিলই না, তা মারবে কী করে। হরেন। বাঃ, দাদা যে এইখানে বসে চিঠি লিখছিল- তাতে ছিল ভয়ে আকার ভা, ল, ভাল। সুকুমারী ; তোমরা মায়ে-পোয়ে মিলে আমার ছেলের সঙ্গে লেগেছ বুঝি। ওকে তোমদের সহ্য হচ্ছে না! ও গেলেই তোমরা বীচ। আমি তাই বলি, খোকা রোজ ডাক্তার কবরাজের বােতল-বােতল ওষুধ গিলছে, তবু দিনদিন এমন রোগ হচ্ছে কেন। ব্যাপারখানা আজ বােঝা গেল। [সকলের প্রস্থান সতীশ ও নলিনীর প্রবেশ সতীশ । এ কী, তুমি যে এ-বাড়িতে ? : নলিনী। শশধর বাবু বাবাকে কী একটা আইনের কাজে ডেকেছেন। আমি তীর সঙ্গে এসেছি। সতীশ । আমি তোমার কাছে শেষ বিদায় নিতে চাই, নেলি ।