পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dà)SR রবীন্দ্র-রচনাবলী হিমির প্রবেশ হিমি। দাদা তোমাকে বারবার ডাকছেন, মাসি। ছটফট করছেন আর কেবলই বউদিদির কথা জিজ্ঞাসা করছেন। তার জবাব কিছুতে আমার মুখ দিয়ে বেরোয় না, আমার গলা আটকে যায়। [দুইহাতে মুখ চাপিয়া কান্ন মসি । কঁদিস নে মা, কঁদিস নে। আমি যতীনের কাছে যাচ্ছি। অখিল। কাকি, আমি যদি কিছু করতে পারি, বলে, আমি নাহয় যতীনের কাছে গিয়ে— মাসি। হা, যতীনের কাছে যেতে হবে। তার সেই উইলটা। [প্ৰস্থান রোগীর ঘরে যতীন । মণি এল না ? এত দেরি করলে যে ? মাসি। সে এক কাণ্ড । গিয়ে দেখি তোমার দুধ জ্বাল দিতে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে বলে কান্না। বড়োমানুষের ঘরের মেয়ে- দুধ খেতেই জানে, জ্বাল দিতে শেখে নি। তোমার কাজ করতে প্ৰাণ চায় বলেই করা। অনেক করে ঠাণ্ডা করে তাকে বিছানায় শুইয়ে রেখে এসেছি। একটু ঘুমোক । যতীন । মাসি ! মাসি । কী বাবা । যতীন। বুঝতে পারছি, দিন শেষ হয়ে এল। কিন্তু কোনাে খেদ নেই! আমার জন্যে শোক কোরো না। মাসি। না বাবা, শোক করবার পালা আমার ফুরিয়েছে। ভগবান আমাকে এটুকু বুঝিয়ে দিয়েছেন যে বেঁচে থাকাই যে ভালো আর মরাই যে মন্দ, তা নয়। যতীন। মৃত্যুকে আমার মধুর মনে হচ্ছে। আজ আমি ওপারের ঘাটের থেকে সানাই শুনতে পাচ্ছি। হিমি, হিমি কোথায় । মাসি । ঐ-যো-জানলার কাছে দাড়িয়ে । श्ििभे । एकन प्राप्रा, की 5ाई। যতীন। লক্ষ্মী বোন আমার, তুই আমন আড়ালে আড়ালে কঁদিস নে- তোর চোখের জলের শব্দ আমি যেন বুকের মধ্যে শুনতে পাই। দেখি তোর হাতটা। আমি খুব ভালো আছি। ঐ গানটা গা তো ভাই- যদি হল যাবার ক্ষণ হিমির গান যদি হল যাবার ক্ষণ তবে যাও দিয়ে যাও শেষের পরশন । বারে বারে যেথায় আপন গানে স্বপন ভাসাইদুরের পানে, মাঝে মাঝে দেখে যেয়ে শূন্য বাতায়ন সে মোর শূন্য বাতায়ন। মনের প্রান্তে ওই মালতীর লতা করুণ গন্ধে কয় কী গোপন কথা । ওরি ডালে আর-শ্রাবণের পাখি । স্মরণখনি আনবে না কিআজ-শ্রাবণের সজল ছায়ায় বিরহ মিলন उठाशां दिनं भिनन ।