পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নটরাজ সম্বোধন ধূসরবসন, হেবৈশাখ, রক্তলোচন, হেনির্বক, শুষ্কপথের দানব দাস, শুষে নিতে চাও হাসি ও অশ্রু, ইঙ্গিতে দাও দারুশ ডাক । স্তম্ভিত হল সে ডাকে পৃথী, ভাণ্ডারে তার কঁপিল ভিত্তি, শঙ্কায় তার শুকায় তালু, অট্টহাসিল মরুর বালু। হুংকার সেই তপ্ত হওয়ায় প্ৰান্তর হতে প্ৰান্তরে ধ্যায়, शिदशूनग्न मैत्राद कैलाश, শূন্যে শূন্যে উড়ায় ধূলি, বিজয়পতাকা আকাশে তুলি। দুহিয়া লয়েছ গগন-ধেনুরে, ঝরায়ে দিয়েছ শিরীষরেগুরে উদাস করেছ রাখাল-বেণুরে । তৃষ্ণকরুশ সারঙ-তানে । শীর্ণ নদীর গেল সঞ্চয়, বিরিঝিরি জল ধীরে ধীরি বয়, আকুলিয়া উঠেকাননের ভয় ভীরু কপোতের কাকলি গানে । ধূসরবসন, হেবৈশাখ, রক্তলোচন হেনির্বক, শুষ্ক পথের দানব দস্য, শুষে নিতে চাও হাসি ও অশ্রা", ইঙ্গিতে দাও দারুশ ডাক । 해F হৃদয় আমার, ওই বুঝি তোর বৈশাখী ঝড় আসে, বেড়া ভাঙার মতন নামে উদ্দাম উল্লাসে । মোহন এলাভীষণ বেশে আকাশ ঢাকা জটিল কেশে, এল তোমার সাধনা-ধন।'চরম সর্বনাশে । বাতাসে তোর সুর ছিলনা, ছিল তাপে ভরা। পিপাসাতে বুক ফাটা তোর শুষ্ক কঠিন ধরা। জাগারে হতাশ, আয় রেচুট অবসাদের ধাঁধন টুট, এল তোমার পথের সাখি বিপুল অট্টহাসে। SWyO