পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VS8 রবীন্দ্র-রচনাবলী কিছুই করে না বরং সকৌতুকে নিরীক্ষণ করে এবং হাসে। এই সমস্ত যথাবিহিত অশেষ ক্রিয়াকলাপের মধ্যে (श qक निशशछ शौर्य आश्, श्ना उछा अछिछूठ श्म ना। 'ፋ একদিন টকা সাহেব গোলাম আসিয়া রাজপুত্র কোটালের পুত্র এবং সদাগরের পুত্রকে হাঁড়ির মতো গলা S DBDD DBDDD DBB DDB DBDBS DBD DDDB DDB D DDD उिन शकू ऐख्द्र रुब्रिज, आभाळाव्र देश । হাঁড়ির মতো গলা করিয়া তাসীরাজ্যের তিন অধিনায়ক স্বপ্নাভিভূতের মতো বলিল, ইচ্ছা ? সে বেটা GS 2 ইচ্ছা কী সেদিন বুঝিল না। কিন্তু ক্ৰমে ক্ৰমে বুঝিল। প্রতিদিন দেখিতে লাগিল। এমন করিয়া না চলিয়া অমন করিয়া চলাও সম্ভব, যেমন এদিক আছে তেমনি ওদিকও আছে-বিদেশ হইতে তিনটি জীবন্ত দৃষ্টান্ত আসিয়া জানাইয়া দিল বিধানের মধ্যেই মানবের সমস্ত স্বাধীনতার সীমা নহে। ৭ এমনি করিয়া তাহারা। ইচ্ছানামক একটা রাজশক্তির প্রভাব অস্পষ্টভাবে অনুভব করিতে লাগিল। ঐ সেটি যেমনি অনুভব করা আমনি তাসীরাজ্যের আগাগোড়া অল্প অল্প করিয়া আন্দোলিত হইতে আরম্ভ হইল- গীতনিদ্র প্রকাণ্ড অজগরসৰ্পের অনেকগুলা কুণ্ডলীর মধ্যে জাগরণ যেমন অত্যন্ত মন্দগতিতে সঞ্চালন করিতে থাকে সেইরূপ । V নির্বিকারমূর্তি বিবি। এতদিন কাহারও দিকে দৃষ্টিপাত করে নাই, নির্বক নিরুদবিগ্নভাবে আপনার কাজ করিয়া গেছে। এখন একদিন বসন্তের অপরাহুেইহাদের মধ্যে একজন চকিতের মতো ঘনকৃষ্ণ পক্ষ্ম উর্ধে উৎক্ষিপ্ত করিয়া রাজপুত্রের দিকে মুগ্ধনেত্রের কটাক্ষপাত করিল। রাজপুত্র চমকিয়া উঠিয়া কহিল, এ কী সর্বনাশ ! আমি জানিতাম, ইহার এক-একটা মূর্তিবাৎ- তাহা তো নহে, দেখিতেছি এ যে নারী। কোটালের পুত্র ও সদাগরের পুত্রকে নিভৃতে ডাকিয়া লইয়া রাজকুমার কহিল, ভাই, ইহার মধ্যে বড়ো মাধুৰ্য আছে। তাহার সেই নবভাবােদীপ্ত কৃষ্ণনেত্রের প্রথম কটাক্ষপাতে আমার মনে হইল যেন আমি এক নূতনগৃষ্ট জগতের প্রথম উষার প্রথম উদয় দেখিতে পাইলাম। এতদিন যে ধৈর্য ধরিয়া অবস্থান করিতেছি। আজ তাহা সার্থক হইল । দুই বন্ধু পরম কৌতুহলের সহিত সহাস্যে কহিল, সত্য নাকি সাঙােত । সেই হতভাগিনী হরতনের বিবিটি আজ হইতে প্রতিদিন নিয়ম ভুলিতে লাগিল। তাহার যখন যেখানে হাজির হওয়া বিধান, মুহুর্মুহু তাহার ব্যতিক্রম হইতে আরম্ভ হইল। মনে করে, যখন তাহাকে গোলামের পার্থে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া দাঁড়াইতে হইবে তখন সে হঠাৎ রাজপুত্রের পর্থে আসিয়া দাঁড়ায়- গোলাম অবিচলিত ভাবে সুগাষ্ঠীর কণ্ঠে বলে, বিবি, তোমার ভুল হইল। শুনিয়া হরতনের বিবির স্বভাবত-রক্তকপোল অধিকতর রক্তবর্ণ হইয়া উঠে, তাহার নির্নিমেষ প্রশান্ত দৃষ্টিনত হইয়া যায়। রাজপুত্র উত্তর দেয়, কিছু ভুল হয় নাই, আজ হইতে আমিই গোলাম । নবপ্রস্ফুটিত রমণীহৃদয় হইতে এ কী অভূতপূর্ব শোভা, এ কী অভাবনীয় লাবণ্য বিস্মৃদ্রিত হইতে লাগিল। তাহার গতিতে এ কী সুমধুর চাঞ্চল্য, তাহার দৃষ্টিপাতে এ কী হৃদয়ের হিল্লোল,তাহার সমস্ত অস্তিত্ব হইতে এ কী একটি সুগন্ধি আরতি উচ্ছসি উচ্ছসিত হইয়া উঠিতেছে। এই নব অপরাধিনীর ভ্রমসংশোধনে সাতিশয় মনোযোগ করিতে গিয়া আজকাল সকলেরই ভ্ৰম হইতে লাগিল। টেক্কা আপনার চিরন্তন মর্যাদারীক্ষার কথা বিস্মৃত হইল, সাহেবে গোলামে আর প্রভেদ থাকে না, দহিলা-নহলগুলা পর্যন্ত কেমন হইয়া গেল । এই পুরাতন দ্বীপে বসন্তের কোকিল অনেকবার ডাকিয়াছে কিন্তু সেইবার যেমন ডাকিল। এমন আর-কখনো ডাকে নাই। সমুদ্র চিরদিন একতািন কলধ্বনিতে গান করিয়া আসিতেছে, কিন্তু এতদিন সে সনাতন বিধানের অলঙ্ঘ্য মহিমা একসূত্রে ঘোষণা করিয়া আসিয়াছে- আজি সহসা দক্ষিণবায়ুচঞ্চল