পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Pes VSS দেয়। দয়াপরবশ শ্ৰীপতি অনেক চেষ্টায় তাহাকে ঠাণ্ডা করিয়া পার্শ্ববর্তী গৃহে স্থান দিল। পরদিন অসময়ে অন্তঃপুরে শ্ৰীপতির তলব হইল। যোগমায়া তাহাকে অকস্মাৎ ভৎসনা করিতে আরম্ভ করিল, “ই গা, তুমি কেমনধারা লোক ! একজন মেয়েমানুষ আপন শ্বশুরঘর ছাড়িয়া তোমার ঘরে আসিয়া অধিষ্ঠান হইল, মাসখানেক হইয়া গেল তবু যাইবার নাম করে না, আর তোমার মুখে যে একটি আপত্তিমাত্র শুনি না! তোমার মনের ভাবটা কী বুঝাইয়া বলে দেখি। তোমরা পুরুষমানুষ এমনি জােতই বটে।” বাস্তবিক সাধারণ শ্ৰীজাতির পরে পুরুষমানুষের একটা নির্বিচার পক্ষপাত আছে এবং সেজন্য স্ত্রীলোকেরাই তাহাদিগকে অধিক অপরাধী করে। নিঃসহায়া অথচ সুন্দরী কাদম্বিনীর প্রতি শ্ৰীপতির করুণা যে যথােচিত মাত্রার চেয়ে কিঞ্চিৎ অধিক ছিল তাহার বিরুদ্ধে তিনি যোগমায়ার গাত্ৰস্পৰ্শ পূর্বক শপথ করিতে উদ্যত হইলেও তাহার ব্যবহারে তাহার প্রমাণ পাওয়া যাইত । তাই নিতান্ত সহ্য করিতে না পারিয়া পলাইয়া কাদম্বিনী আমার আশ্রয় লইয়াছে। যখন ইহার বাপ মা কেহই নাই, তখন আমি ইহাকে কী করিয়া ত্যাগ করি।” এই বলিয়া তিনি কোনোরূপ সন্ধান লইতে ক্ষান্ত ছিলেন এবং কাদম্বিনীকেও এই অগ্ৰীতিকর বিষয়ে প্রশ্ন করিয়া ব্যথিত করিতে র্তাহার প্রবৃত্তি হইত না। তখন তাহার স্ত্রীর্তাহার অসাড় কর্তব্য বুদ্ধিতে নানাপ্রকার আঘাত দিতে লাগিল। কাদম্বিনীর শ্বশুরবাড়িতে খবর দেওয়া যে তাহার গৃহের শান্তিরক্ষার পক্ষে একান্ত আবশ্যক, তাহা তিনি বেশ বুঝিতে পরিলেন। অবশেষে স্থির করিলেন, হঠাৎ চিঠি লিখিয়া বসিলে ভালো ফল নাও হইতে পারে, অতএব রানীহাটে তিনি নিজে গিয়া সন্ধান লইয়া যাহা কর্তব্য স্থির করবেন। শ্ৰীপতি তো গেলেন, এদিকে যোগমায়া আসিয়া কাদম্বিনীকে কহিল, “সই, এখানে তোমার আর থাকা ভালো দেখাইতেছে না। লোকে বলিবে কী ” কাদম্বিনী গভীরভাবে যোগমায়ার মুখের দিকে তাকাইয়া কহিল, “লোকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কী ” যোগমায়া কথা শুনিয়া অবাক হইয়া গেল। কিঞ্চিৎ রাগিয়া কহিল, “তোমার না থাকে, আমাদের তো আছে। আমরা পরের ঘরের বধূকে কী বলিয়া আটক করিয়া রাখিব।” কাদম্বিনী কহিল, “আমার শ্বশুরঘর কোথায় ।” যোগমায়া ভাবিল, আমরণ ! পোড়াকপালী বলে কী : কাদম্বিনী ধীরে ধীরে কহিল, “আমি কি তোমাদের কেহ। আমি কি এ পৃথিবীর । তোমরা হাসিতেছ, - কঁদিতেছ, ভালোবাসিতোছ, সবাই আপনি আপনি লইয়া আছ, আমি তো কেবল চাহিয়া আছি। তোমরা মানুষ, আর আমি ছায়া। বুঝতে পারি না, ভগবান আমাকে তোমাদের এই সংসারের মাঝখানে কেন রাখিয়াছেন। তোমরাও ভয় কর পাছে তোমাদের হাসিখেলার মধ্যে আমি অমঙ্গল আনি— আমিও বুঝিয়া । উঠিতে পারি না, তোমাদের সঙ্গে আমার কী সম্পর্ক। কিন্তু ঈশ্বর যখন আমাদের জন্য আর-কোনো স্থান গড়িয়া রাখেন নাই, তখন কাজে কাজেই বন্ধন ছিড়িয়া যায়। তবু তোমাদের কাছেই ঘুরিয়া ঘুরিয়া বেড়াই।” এমনি ভাবে চাহিয়া কথাগুলা বলিয়া গেল যে, যোগমায়া কেমন একরকম করিয়া মোটের উপর একটা কী বুঝিতে পারিল কিন্তু আসল কথাটা বুঝিল না, জবাবও দিতে পারিল না। দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করিতেও পারিল না । অত্যন্ত ভারগ্রন্ত গভীর ভাবে চলিয়া গেল । চতুর্থ পরিচ্ছেদ রাত্রি প্রায় যখন দশটা তখন শ্ৰীপতি রানীহাট হইতে ফিরিয়া আসিলেন। মুষলধারে বৃষ্টিতে পৃথিবী ভুল হইতেছে। ক্রমশঃই তার জন্সশন মেন হচ্ছে ষ্ট'নে বই আজ রক্রিয় ৰে 钟,, (शाशभाशा छिछोना कब्रिएलन, 'दी श्ल।”