পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औवनष्ठि 8ዓል প্রতি শ্ৰদ্ধামাত্র করে না এবং সম্ভবত এই পাগলামির জন্য ঠাহাকে সর্বদা ভার্ডসনা করিয়া থাকে। এক-একদিন তঁহার মুখ দেখিয়া বুঝা যাইত- ভালো কোনো একটা প্রমাণ পাইয়াছেন, লেখা অনেকটা অগ্রসর হইয়াছে। আমি সেদিন সেই বিষয়ে কথা উত্থাপন করিয়া ঠাহর উৎসাহে আরো উৎসাহ সঞ্চার করিতাম, আবার এক-একদিন তিনি বড়ো বিমর্ষ হইয়া আসিতেন- যেন যে-ভার তিনি গ্ৰহণ করিয়াছেন তাহা আর বহন করিতে পারিতেছেন না। সেদিন পড়ানাের পদে পদে বাধা ঘটিত, চোখদুটাে কোন শূন্যের দিকে তাকাইয়া থাকিস্ত, মনটাকে কোনোমতেই প্রথমপাঠ্য লাটিন ব্যাকরণের মধ্যে টানিয়া আনিতে পারিতেন না। এই ভাবের ভরে ও লেখার দায়ে অবনত, অনশনক্লিষ্ট লোকটিকে দেখিলে আমার বড়োই বেদনা বোধ হইত। যদিও বেশ বুঝিতেছিলাম, ইহার দ্বারা আমার পড়ার সাহায্য প্রায় কিছুই হইবে না। তবুও কোনোমতেই ইহাকে বিদায় করিতে আমার মান সরিল না। যে-কয়দিন সে-বাসায় ছিলাম। এমনি করিয়া লাটিন পড়বার ছল করিয়াই কাটিল। বিদায় লইবার সময় যখন ঠাহার বেতন চুকাইতে গেলাম তিনি করুণস্বরে আমাকে কহিলেন, “আমি কেবল তোমার সময় নষ্ট করিয়াছি, আমি তো কোনো কাজই করি নাই, আমি তোমার কাছ হইতে বেতন লাইতে পারিব না।” আমি ঠাহকে অনেক কষ্ট বেতন লাইতে রাজি করিয়াছিলাম। আমার সেই লাটিনশিক্ষক যদিচার্তাহার মতকে আমার সমক্ষে প্রমাণসহ উপস্থিত করেন নাই, তবু তাহার সে-কথা আমি এ-পর্যন্ত অবিশ্বাস করি না। এখনো আমার এই বিশ্বাস যে, সমন্ত মানুষের মনের সঙ্গে মনের একটি অখণ্ড গভীর যোগ আছে ; তাহার এক জায়গায় যে-শক্তির ক্রিয়া ঘটে অন্যত্র গৃঢ়ভাবে তাহা সংক্রমিত হইয়া থাকে । ̈፦ এখােন হইতে পালিতমহাশয় আমাকে বার্কার নামক একজন শিক্ষকের বাসায় লইয়া গেলেন।’ ইনি বাড়িতে ছাত্ৰাদিগকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করিয়া দিতেন। ইহার ঘরে ইহার ভালোমানুষ শ্ৰীটি ছাড়া অত্যন্ত্রমাত্রও রম্য জিনিস কিছুই ছিল না। এমন শিক্ষকের ছাত্র যে কেন জোটে তাহা বুঝিতে পারি, কারণ ছাত্রবেচারাদের নিজের পছন্দ প্রয়োগ করিবার সুযোগ ঘটে না- কিন্তু এমন মানুষেরও স্ত্রী মেলে কেমন করিয়া সে-কথা ভাবিলে মন ব্যথিত হইয়া উঠে । বার্কার-জায়ার সাত্মনার সামগ্ৰী ছিল একটি কুকুর- কিন্তু স্ত্রীকে যখন বার্কার দণ্ড দিতে ইচ্ছা করিতেন তখন পীড়া দিতেন সেই কুকুরকে । সুতরাং এই কুকুরকে এমন সময়ে বউঠাকুরানী যখন ডেভনশিয়রেটর্কিনগর হইতে ডাক দিলেন তখন আনন্দে সেখানে দৌড় শিশুসঙ্গীকে লইয়া কী সুখে কাটিয়ছিল বলিতে পারি না। দুই চক্ষু যখন মুগ্ধ, মন আনন্দে অভিষিক্ত এবং অবকাশে পূর্ণ দিনগুলি নিষ্কণ্টক সুখের বোঝা লইয়া প্রত্যহ অনন্তের নিন্তৰ নীলাক্যশসমুদ্রে পাড়ি দিতেছে, তখনো কেন যে মনের মধ্যে কবিতা লেখার তাগিদ আসিতেছে না, এই কথা চিন্তা করিয়া এক-একদিন মনে আঘাত পাইয়াছি। তাই একদিন খাতা-হাতে হতামাথায় নীল সাগরের শৈলবেলায় কবির কর্তব্য পালন । করিতে গেলাম। জায়গাটি সুন্দর বাছিয়ছিলাম। কারণ, সেটা তো ছন্দও নহে, ভাবও নহে। একটি সমুচ্চ শিলাতটি চিরব্যগ্রতার মতো সমুদ্রের অভিমুখে শূন্যে ঝুঁকিয়া রহিয়াছে’- সন্মুখের ফেনরেখাঙ্কিত তরল নীলিমার দোলার উপর দিনের আকাশ দোল খাইয়া তরঙ্গের কলাগানে হাসিমুখে ঘুমাইতেছে- পশ্চাতে সারিবাধা পাইনের সুগন্ধি ছায়াখনি কনালীর আলস্যত্বলিত আঁচলটির মতো ছড়াইয়া পড়িয়ছে। সেই শিলাসনে বসিয়া মগ্নতরী” নামে একটি কবিতা লিখিয়ছিলাম। সেইখানেই সমুদ্রের জলে সেটাকে মগ্ন করিয়া দিয়া আসিলে আজ হয়তাে বসিয়া বসিয়া ভাবিতে পারিতাম যে, সে জিনিসটা বেশ ভালেই হইয়াছিল। কিন্তু সে রাজা বন্ধ হইয়া গেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে এখনো সে সশরীরে সাক্ষা দিবার জন্য বর্তমান । গ্রন্থাবলী হইতে যদিও সে নির্বাসিত তবু সপিনাজারি করিলে তাহার ঠিকানা পাওয়া দুঃসাধ্য হইবে না। y Gr-e R, 2. & Torquay, Devonshire a str-ER is, are S SCYSLuS LDDS BBB LL S LDLL DDDS BtBDD LLLL S