পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

धौवनवृठेि 8br。 জলধারাচ্ছন্ন মধ্যাহ খ্যাপার মতো কাটাইয়া দিতাম ; কখনো বা সূর্যান্ডের সময় আমরা নীেকা লইয়া বাহির হইয়া পড়িতাম- জ্যোতিদাদা বেহালা বাজাইতেন, আমি গান গাহিতাম ; পূরবী রাগিণী হইতে আরম্ভ করিয়া যখন বেহাগে গিয়া পীেহিতাম তখন পশ্চিমতােটর আকাশে সোনার খেলনার কারখানা একেবারে নিঃশেষে দেউলে হইয়া গিয়া পূর্বনান্ত হইতে চাঁদ উঠিয়া আসিত। আমরা যখন বাগানের ঘাটে ফিরিয়া আসিয়া নদীতীরের ছদটার উপরে বিছানা করিয়া বসিতাম। তখন জলে স্থলে শুত্র শান্তি, নদীতে নীেকা প্ৰায় নাই, তীরের বনরেখা অন্ধকারে নিবিড়, নদীর তরঙ্গহীন প্রবাহের উপর আলো বিকৃবিক করিতেছে। আমরা যে-বাগানে ছিলাম তাহা মোরান সাহেবের বাগান নামে খ্যাত ছিল । গঙ্গা হইতে উঠিয়া ঘাটের সোপানগুলি পাথরে বাধানো একটি প্রশান্ত সুদীর্ঘ বারান্দায় গিয়া পীেহিত। সেইবারান্দাটাই বাড়ির বারান্দা । ” ঘরগুলি সমতল নহে- কোনো ঘর উচ্চ তলে, কোনো ঘরে দুই-চারি ধাপ সিঁড়ি বহিয়া নামিয়া যাইতে হয়। সবগুলি ঘর যে সমরেখায় তাহাও নহে। ঘাটের উপরেই বৈঠকখানাঘরের সাশিগুলিতে রঙিন ছবিওয়ালা কাচ বসানো ছিল। একটি ছবি ছিল, নিবিড়-পল্পবে বেচিত গাছের শাখায় একটি দোলা- সেই দোলায় রৌদ্রছায়াখচিত নিভৃত নিকুঞ্জে দুজনে দুলিতেছে ; আর একটি ছবি ছিল, কোনো দুর্গপ্রাসাদের সিডি বাহিয়া উৎসববেশে সজ্জিত নরনারী কেহ বা উঠিতেছে কেহ বা নামিতেছে। সাশির উপরে আলো পড়িত এবং এই ছবিগুলি বড়ো উজ্জ্বল হইয়া দেখা দিত। এই দুটি ছবি সেই গঙ্গাতীরের আকাশকে যেন ছুটির সুরে ভরিয়া তুলিত। কোন দূরদেশের, কোন দূরকালের উৎসব আপনার শব্দহীন কথাকে আলোর মধ্যে ঝলমল করিয়া মেলিয়া দিত- এবং কোথাকার কোন একটি চিরনিভৃত ছায়ায় যুগলদোলনের রসমাধুর্য নদীতীরের বনশ্রেণীর মধ্যে একটি অপরিস্ফুট গল্পের বেদনা সঞ্চার করিয়া দিত। বাড়ির সর্বোচ্চতলে চারি দিক খোলা একটি গোল ঘর ছিল। সেইখানে আমার কবিতা লিখিবার জায়গা করিয়া লইয়াছিলাম। সেখানে বসিলে ঘনগাছের মাথাগুলি ও খোলা আকাশ ছাড়া আর-কিছু চোখে পড়িত না । তখনো সন্ধ্যাসংগীতের পালা চলিতেছে- এই ঘরের প্রতি লক্ষ করিয়াই লিখিয়ছিলাম’- অনন্তু এ আকাশের কোলে টলমল মেঘের মাঝার এইখানে বাধিয়াছিঘর তোর তরে কবিতা আমার । এখন হইতে কাব্যসমালোচকদের মধ্যে আমার সম্বন্ধে এই একটা রব উঠতেছিল যে, আমি ভাঙা-ভাঙা ছন্দ ও আধো-আধো ভাষার কবি । সমস্তই আমার ধোয়া-ধোয়া, ছায়া-হায়া। কথাটা তখন আমার পক্ষে যতই অপ্রিয় হউক-না কেন, তাহা অমূলক নহে। বস্তুতই সেই কবিতাগুলির মধ্যে বাস্তব সংসারের দৃঢ়ত্ব কিছুই ছিল না। ছেলেবেলা হইতেই বাহিরের লোকসংস্রব হইতে বহুদূরে যেমন করিয়া গণ্ডিবন্ধ হইয়া মানুষ হইয়াছিলাম তাহাতে লিখিবার সম্বল পাইব কোথায় । কিন্তু একটা কথা আমি মানিতে পারি না। তাহারা আমার কবিতাকে যখন ঝাপসা বলিতেন তখন সেইসঙ্গে এই খোচাটুকুও ব্যক্ত বা অব্যক্তভাবে যোগ করিয়া দিতেন-ওটা যেন একটা ফ্যাশান। যাহার নিজের দৃষ্টি খুব ভালো সে ব্যক্তি কোনো যুবককে চশমা পরিতে দেখিলে অনেক সময়ে রাগ করে এবং মনে করে, ও বুঝি চশমাটাকে অলংকাররূপে ব্যবহার করিতেছে। বেচারা চােখে কম দেখে, এ অপবাদটা খীকার করা যাইতে পারে, কিন্তু কম দেখার ভান করে, এটা কিছু বেশি হইয়া পড়ে। যেমন নীহারিকাকে সৃটিছাড়া বলা চলে না, কারণ তাহা সৃষ্টির একটা বিশেষ অবস্থার সত্য- তেমনি BBDB BDDBB DDDB DDD DDDD DDD DBDBDBBDB BD DBuDBD BBDBB BB BDBS মানুষের মধ্যে অবস্থাবিশেষে একটা আবেগ আসে যাহা অব্যক্তের বেদনা, বাহা অপরিস্ফুটিতার ব্যাকুলতা। BBDuuDuB BDB BDB BDBDBBB BiBuB DDD DDD D DBDD SLBLB BDDDBD BD DBDD ১ “গান আয়ত, সন্তাসংগীত, রবীন্দ্ররচনাবলী ১ । স্ত্ৰ কবিতা সাধনা ভারতী, পৌষ ১২৮৮