পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 রবীন্দ্র-রচনাবলী বলিলে ঠিক বলা হয় না, তবে কিনা মূল্য নাই বলিয়া তর্ক করা চলিতে পারে। কিন্তু একেবারে নাই বলিলে কি অত্ম্যুক্তি হইবে না। কেননা, কাব্যের ভিতর দিয়া মানুষ আপনার হৃদয়কে ভাষায় প্রকাশ করিতে চেষ্টা করে ; সেই হৃদয়ের কোনো অবস্থার কোনো পরিচয় যদি কোনো লেখায় ব্যক্তি হয় তবে মানুষ তাহাকে কুড়াইয়া রাখিয়া দেয়- ব্যক্তি যদি না হয় তবেই তাহাকে ফেলিয়া দিয়া থাকে। অতএব হৃদয়ের অব্যক্ত আকৃতিকে ব্যক্ত করায় পাপ নাই- যত অপরাধ ব্যক্ত না করিতে পারার দিকে। মানুষের মধ্যে একটা দ্বৈত আছে। বাহিরের ঘটনা, বাহিরের জীবনের সমন্ত চিন্তা ও আবেগের গভীর অন্তরালে যে মানুষটা বসিয়া আছে, তাহাকে ভালো করিয়া চিনি না ও ভুলিয়া থাকি, কিন্তু জীবনের মধ্যে তাহার সত্তাকে তো লোপ করিতে পারি না। বাহিরের সঙ্গে তাহার অন্তরের সুর যখন মেলেনা-সামঞ্জস্য যখন সুন্দর ও সম্পূর্ণ হইয়া উঠে না তখন সেই অন্তরনিবাসীর পীড়ার বেদনায় মানসপ্রকৃতি ব্যথিত হইতে থাকে। এই বেদনাকে কোনো বিশেষ নাম দিতে পারি না- ইহার বর্ণনা নাই- এইজন্য ইহার যে রোদনের ভার্য তাহা স্পষ্ট ভাষা নহে, তাহার মধ্যে অর্থবদ্ধ কথার চেয়ে অর্থহীন সুরের অংশই বেশি। সন্ধ্যাসংগীতে যে বিষাদ ও বেদনা ব্যক্তি হইতে চাহিয়াছে তাহার মূল সত্যটি সেই অন্তরের রহস্যের মধ্যে। সমস্ত জীবনের একটি মিল যেখানে আছে সেখানে জীবন কোনোমতে পীেহিতে পারিতেছিল না। নিদ্রায় অভিভূত চৈতন্য যেমন দুঃস্বপ্নের সঙ্গে লড়াই যুদ্ধের ইতিহাসই অস্পষ্ট ভাষায় সন্ধ্যাসংগীতে প্রকাশিত হইয়াছে। সকল সৃষ্টিতেই যেমন দুই শক্তির লীলা, কাব্যসৃষ্টির মধ্যেও তেমনি। যেখানে অসামঞ্জস্য অতিরিক্ত অধিক, অথবা সামঞ্জস্য যেখানে সম্পূর্ণ, সেখানে কাব্য লেখা বোধ হয় চলে না । যেখানে অসামঞ্জস্যের বেদনাই প্রবলভাবে সামঞ্জস্যকে পাইতে ও প্রকাশ করিতে চাহিতেছে, সেইখানেই কবিতা ধাশির অবরোধের ভিতর হইতে নিশ্বাসের মতো রাগিণীতে উচ্ছসিত হইয়া উঠে । A. সন্ধ্যাসংগীতের জন্ম’’ হইলে পর সূতিকাগৃহে উচ্চস্বরে শাখ বাজে নাই বটে কিন্তু তাই বলিয়া কেহ যে তাহাকে আদর করিয়া লয় নাই, তাহা নহে । আমার অন্য কোনো প্রবন্ধে আমি বলিয়ছি- রমেশ দত্ত মহাশয়ের জ্যেষ্ঠা কন্যার বিবাহসভার দ্বারের কাছে বঙ্কিমবাবু দাড়াইয়া ছিলেন” ; রমেশবাবু বঙ্কিমবাবুর গলায় মালা পরাইতে উদ্যত হইয়াছেন এমন সময়ে আমি সেখানে উপস্থিত হইলাম। বঙ্কিমবাবু তাড়াতাড়ি সে মালা আমার গলায় দিয়া বলিলেন, “এ মালা ইহারই প্রাপ্য- রমেশ, তুমি সন্ধ্যাসংগীত পড়িয়াছ ?” তিনি বলিলেন, “না।” তখন বঙ্কিমবাবু সন্ধ্যাসংগীতের কোনো কবিতা সম্বন্ধে যে মত ব্যক্ত করিলেন তাহাতে আমি পুরস্কৃত হইয়াছিলাম। প্রিয়বাবু এই সন্ধাসংগীত রচনার দ্বারাই আমি এমন একজনবন্ধু পাইয়াছিলামধাহার উৎসাহ অনুকুল আলোকের মতো আমার কাব্যরচনার বিকাশচেষ্টায় প্রাণসঞ্চার করিয়া দিয়ছিল। তিনি শ্ৰীযুক্ত প্রিয়নাথ সেন।” S BB DBD BDDu DD DB BBD DuuDBS BDB DB DBD DB লাইলাম। তাহার সঙ্গে ধাহদের পরিচয় আছে ঠাহীরা জানেন সহিত্যের সাত সমুদ্রের নাবিক তিনি। দেশী y riter wr Svirs "ইহার অধিকাংশ কবিতাই গত দুই বৎসরের মধ্যে রচিত - বিজ্ঞাপন, ১ম সংস্করণ ২ বঙ্কিমচন্দ্র, সাধনা, বৈশাখ ১৩০১ । স্ত্ৰ গ্ৰন্থপরিচয় ৯, পৃ. ৫৫৫ (সুলত সং ৫, পৃ ৮১০) { e 3o r5 (svsroa) S SLD DL DDD D DBB BB DD DBB BDBB BB DDBSBuBL LDDDL LLLLLg e fèy Gaga (rts-»»»»)