পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (নবম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औदनठि S ও বিদেশী প্রায় সকল ভাষার সকল সাহিত্যের বড়ো রাস্তায় ও গলিতে ঠহার। সদাসর্বদা আনাগোনা। তাহার কাছে বসিলে ভােবরাজ্যের অনেক দূর দিগন্তের দৃশ্য একেবারে দেখিতে পাওয়া যায়। সেটা আমার পক্ষে ভারি কাজে লাগিয়াছিল। সাহিত্য সম্বন্ধে পুরা সাহসের সঙ্গে তিনি আলোচনা করিতে পারিতেন- তাহার ভালোলাগা মন্দলাগা কেবলমাত্র ব্যক্তিগত রুচির কথা নহে। একদিকে বিশ্বসাহিত্যের রসভাণ্ডারে প্রবেশ ও অন্য দিকে নিজের শক্তির প্রতি নির্ভর ও বিশ্বাস--- এই দুই বিষয়েই তাহার বন্ধুত্ব আমার যৌবনের আরম্ভকালেই যে কত উপকার করিয়াছে তাহা বলিয়া শেষ করা যায় না। তখনকার দিনে যত কবিতাই লিখিয়াছি সমস্তই ঠাহকে শুনাইয়াছি এবং তাহার আনন্দের দ্বারাই আমার কবিতাগুলির অভিষেক হইয়াছে। এই সুযোগটি যদি না পাইতাম তবে সেই প্রথম বয়সের চাষ-আবাদে বর্ষা নামিত না এবং তাহার পরে কাব্যের ফসলে ফলন কতটা হইত। তাহা zárt eg: | প্রভাতসংগীত’ গঙ্গার ধারে বসিয়া সন্ধ্যাসংগীত ছাড়া কিছু-কিছু গদ্যও লিখিতাম। সেও কোনো বাধা লেখা নহে- সেও একরকম যা-খুশি তাই লেখা । ছেলেরা যেমন লীলাচ্ছলে পতঙ্গ ধরিয়া থাকে এও সেইরকম। মনের রাজ্যে যখন বসন্ত আসে তখন ছোটাে ছোটাে স্বল্পায়ুরঙিন ভাবনা উড়িয়া উড়িয়া বেড়ায়, তাহাদিগকে কেহ লক্ষ্যও করে না, অবকাশের দিনে সেইগুলাকে ধরিয়া রাখিবার খেয়াল আসিয়াছিল। আসল কথা তখন সেই একটা ঝোকের মুখে চলিয়ছিলাম-মন বুক-ফুলাইয়া বলিতেছিল, আমার যাহা ইচ্ছা তাঁহাই লিখিব- কী লিখিব সে খেয়াল ছিল না। কিন্তু আমিই লিখিব, এইমাত্র তাহার একটা উত্তেজনা । এই ছোটাে ছোটো গদ্য লেখাগুলা এক সময়ে বিবিধ প্রসঙ্গ” নামে গ্রন্থ আকারে বহির হইয়াছে’- প্ৰথম সংস্করণের শেষেই তাহাদিগকে সমাধি দেওয়া হইয়াছে, দ্বিতীয় সংস্করণে আর তাহাদিগকে নূতন জীবনের পাট্টা দেওয়া হয় নাই । বোধ করি এই সময়েই ‘বউঠাকুরানীর হাট নামে এক বড়ো নভেল লিখিতে শুরু করিয়াছিলাম * এইরূপে গঙ্গাতীরে কিছুকাল কাটিয়া গেলে জ্যোতিদাদা কিছুদিনের জন্য চৌরঙ্গি জাদুঘরের নিকট দশ নম্বর সদর স্ত্রীটে বাস করিতেন । আমি তঁহার সঙ্গে ছিলাম। এখানেও একটু একটু করিয়া বউঠাকুরানীর হাট ও একটি একটি করিয়া সন্ধ্যাসংগীত লিখিতেছি এমন সময়ে আমার মধ্যে হঠাৎ একটা কী উলটাপালট হইয়া 仍何日 একদিন জোড়ার্সকোর বাড়ির ছাদের উপর অপরান্ধের শেষে বেড়াইতেছিলাম। দিবাবধানের স্নানিমার । উপরে সূর্যান্তের আভাটি জড়িত হইয়া সেদিনকার আসন্ন সন্ধা আমার কাছে বিশেষভাবে মনোহর হইয়া প্রকাশ পাইয়াছিল। পাশের বাড়ির দেয়ালগুলা পর্যন্ত আমার কাছে সুন্দর হইয়া উঠিল। আমি মনে-মনে ভাবিতে লাগিলাম, পরিচিত জগতের উপর হইতে এই যে তুচ্ছতার আবরণ একেবারে উঠিয়া গেল এ কি কেবলমাত্র সায়াহের আলোকসম্পাতের একটি জাদুমাত্র। কখনোই তাহা নয়। আমি বেশ দেখিতে পাইলাম, ইহার আসল কারণটি এই যে, সন্ধা আমারই মধ্যে আসিয়াছে- আমিই ঢাকা পড়িয়ছি। দিনের আলোতে আমিই যখন অত্যন্ত উগ্ৰ হইয়াছিলাম তখন যাহা কিছুকেই দেখিতে-শুনিতেছিলাম সমস্তকে আমিই জড়িত করিয়া আবৃত করিয়ছি। এখন সেই আমি সরিয়া আসিয়াছে বলিয়াই জগৎকে তাহার নিজের স্বরূপে দেখিতেছি । সে-স্বরূপ কখনোই তুহু নহে-তাহা আনন্দময় সুন্দর। তাহার পর আমি মাঝে মাঝে y awr, rin voe V (wire) i রবীন্দ্র-রচনাকী ১ : २ उाव ४४०६ भक [४४४०]। गलनष्मागौच * ' . DLL LLDLLDS rBBLu tDBDS BDDu tBBDtS LDDLBuBS uBB L0 YLgg EuuDuBuD